আরজি কর হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।
আরজি কর হাসপাতালে তরুণীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। আগেই রুজু হয়েছিল খুনের মামলাও। লালবাজার সূত্রে খবর, হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতেই ওই যুবককে আটক করা হয়েছিল। শনিবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হল। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলার হলঘর থেকে এক তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক ভাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তরুণীর মুখ, পেট, ঠোঁট, গলা, এমনকি যৌনাঙ্গেও ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। কী ভাবে সে সব ক্ষত তৈরি হল, তা রিপোর্টে স্পষ্ট নয়। তরুণীর পরিবারের লোকজনের দাবি, তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতেই খুনের পাশাপাশি ধর্ষণের মামলাও রুজু করেছে টালা থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনারও।
পুলিশ শুক্রবারই খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছিল। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। কে বা কারা সেখানে যাতায়াত করেছেন, তা দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরজি কর হাসপাতালে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, তরুণীর খুন এবং ধর্ষণের কিনারা করতে হবে এবং প্রকৃত দোষীকে শাস্তি দিতে হবে। হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিও জানানো হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে অনেক চিকিৎসক কাজে অংশগ্রহণ করেননি। খোলা আছে কেবল জরুরি বিভাগ। এই কারণে অনেক রোগীকে দূর থেকে এসেও ফিরে যেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ।
শুক্রবারই আরজি করে গিয়েছিলেন তৃণমূল এবং বিজেপি নেতৃত্ব। রাত পর্যন্ত হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের সদস্যেরা, নেতৃত্বে ছিলেন মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। অভিযোগ, এই ঘটনাকে প্রথমে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। তরুণীর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয় আরজি কর হাসপাতালেই। তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মিনাক্ষীরা। যে হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটেছে, সেখানেই কেন ময়নাতদন্ত হচ্ছে, তা জানতে চেয়েছেন তাঁরা। শুক্রবার তরুণীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। উপযুক্ত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।