আরজি কর হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।
আরজি কর হাসপাতালে যুবতী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় তাঁর চার সহকর্মীকে তলব করল লালবাজার। তাঁদের কয়েকটি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। সূত্রের খবর, এই চার জনই সে দিন যুবতীর সঙ্গে রাতের খাবার খেয়েছিলেন।
তদন্তকারীদের সূত্রে আগেই জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে অনলাইনে খাবার অর্ডার করেছিলেন ওই যুবতী। সহকর্মীদের সঙ্গেই খাবার খান তিনি। রাতে বাড়িতে ফোনও করেছিলেন। মাকে জানিয়েছিলেন, তিনি খেয়েছেন। মাকেও খেয়ে নিতে বলেছিলেন। সে দিন তাঁর রাতে ডিউটি ছিল।
যুবতীর সঙ্গে সে রাতে আরও চার জন খাবার খেয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। প্রত্যেকেই তাঁর মতো জুনিয়র চিকিৎসক। ঘটনার পর প্রাথমিক ভাবে তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছিল তদন্তকারীদের। এ বার তাঁদের বয়ানও রেকর্ড করতে চায় পুলিশ। সোমবার তাই লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছে ওই চার জনকে। সেই সঙ্গে সে দিন যে ডেলিভারি বয় খাবার পৌঁছে দিতে এসেছিলেন, তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে বলে খবর।
আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে শুক্রবার সকালে উদ্ধার হয় যুবতী চিকিৎসকের দেহ। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়েছে সর্বত্র। বিচার এবং উপযুক্ত নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকেরা। সোমবার থেকে জরুরি পরিষেবাও বন্ধ রাখবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। আরজি কর কর্তৃপক্ষের অপসারণ-সহ ছ’দফা দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আরজি করের ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। তদন্তকারীদের দাবি, জেরার মুখে অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত। এ বার হাসপাতালের কর্মচারী, মৃতের সহকর্মীদের বয়ান রেকর্ড করার কাজও শুরু করল পুলিশ।