পুলিশ উদ্ধার করে চুরি যাওয়া গয়না ও প্রাচীন মুদ্রার বেশির ভাগ। —নিজস্ব চিত্র।
প্রায় এক কোটি টাকার গয়না চুরির অভিযোগ বাড়ির চার পরিচারক-পরিচারিকার বিরুদ্ধে। হিরে থেকে সোনা, রুপোর গয়না-প্রাচীন মুদ্রা বাদ থাকেনি কিছুই। মহানগরের রাজা সন্তোষ রায় রোডের ঘটনায় চেতলা থানার পুলিশ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার হয়েছে বেশির ভাগ গয়না ও মুদ্রাই।
অমিত সিংহের অভিযোগ, গত ৭ ডিসেম্বর রাত্রি ১টা থেকে ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৮টার মধ্যে ৩ পরিচারক-পরিচারিকা মিলে চুরি করেন বহু মূল্যের গয়না। অভিযোগের তালিকায় নাম ছিল সমর নস্কর, ঝুমা দাস ও সুপ্রিয়া পুরকাইতের। বহুতল আবাসনে অভিযোগকারীদের বাড়িতে তাঁরা ঘর, শিশু দেখাশোনা ও রান্নার কাজ করতেন।
বিস্তারিত জানিয়ে অভিযোগকারী ২৭ ডিসেম্বর চেতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই বাড়ির সরস্বতী রায় নামে এক পরিচারিকাকে গ্রেফতার করে। তাঁকে জেরা করতেই উঠে আসে ঝুমার নাম। ৩০ ডিসেম্বর তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ উদ্ধার করে চুরি যাওয়া গয়না ও প্রাচীন মুদ্রার বেশির ভাগ।
পুলিশ জানিয়েছে, চুরির অভিযোগে ৩০ ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁরা ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে আছেন। ৩০ তারিখ মেটিয়াবুরুজ, গিরীশ পার্ক-সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও প্রায় সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের দক্ষিণ ২৪ পরগনার আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে।
থানা সূত্রে খবর, চুরির তালিকায় ছিল হিরের একটি ব্রেসলেট, এক জোড়া দুল ও একটি আংটি। এ ছাড়াও ছিল সোনা, রুপো-সহ বেশ কিছু প্রাচীন মুদ্রা ও পাত্র-সহ অন্য কিছু জিনিস। যার বেশির ভাগ ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে।