ফাইল চিত্র।
পাভলভ মানসিক হাসপাতালের সুপার গণেশ প্রসাদকে সরাল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন চিকিৎসক মৃগাঙ্ক মৌলী কর। হাওড়া ডিএমসিএইচও-তে বর্তমানে কর্মরত তিনি। গণেশকে পাঠানো হল কোচবিহারের জেডি যক্ষ্মা হাসপাতালে।
পাভলভ মানসিক হাসপাতালে রোগীদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বন্দি করে রাখা হয়েছে। দেওয়া হয় নিম্ন মানের খাবার— সম্প্রতি এমনই নানা অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে শোকজ করা হয়। মঙ্গলবার হাসপাতালের সুপার গণেশকে তলব করে স্বাস্থ্য দফতর। ডাক পেয়ে স্বাস্থ্য দফতরে হাজিরা দেন সুপার। তিন পাতার চিঠিতে শোকজের জবাবও দেন। সূত্রের খবর, চিঠিতে স্বপক্ষে যুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি অনিচ্ছাকৃত কিছু ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমাও চেয়ে নেন সুপার।
স্বাস্থ্য দফতরের পর্যবেক্ষণ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল, হাসপাতালের অন্ধকার এবং স্যাঁতসেঁতে দু’টি মাত্র ঘরে ১৩ জন রোগীকে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। ঘর দু’টির অবস্থাও বিপজ্জনক। এর প্রেক্ষিতে সুপার জানান, ওই ঘরগুলি সংস্কারের জন্য আগেই বলা হয়েছিল। সম্প্রতি তার অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। শীঘ্রই সংস্কারের কাজ শুরু করবে পিডব্লিউডি। জবাবি চিঠিতে সুপার এ-ও উল্লেখ করেন, যে সব রোগী চর্মরোগে আক্রান্ত, তাঁরা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। খাবারের মান নিয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে গণেশ জানান, এই ব্যাপারটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাসপাতালে ডায়েট কমিটি নেই বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে সুপার জানান, ওই কমিটি নিয়মিত কাজ করছে। ওয়ার্ডে ডায়েট চার্ট টাঙানো রয়েছে। তবে কোন রোগীর ক্ষেত্রে কী ডায়েট, তার আলাদা তালিকা শীঘ্রই টাঙানো হবে। প্রয়োজনে ডায়েট বিল খতিয়ে দেখতে পারে স্বাস্থ্য দফতর। জানা যায়, সুপারের শোকজের জবাবে ‘সন্তুষ্ট’ হয়নি স্বাস্থ্য দফতর। এর পরই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।