Medical College Kolkata

মেডিক্যালের ‘ল্যাব দুর্নীতি’: সুদীপ্ত রায়দের বিরুদ্ধে প্রমাণ মেলেনি! ভিত্তিহীন অভিযোগ বলছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ

ল্যাবরেটরিতে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়ে অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দিয়েছিল মেডিক্যালের পড়ুয়াদের সংগঠন। অভিযোগ, ল্যাব থেকে বিভিন্ন পরীক্ষার কিট চলে যাচ্ছে বাইরে। এ ছাড়াও শয্যা পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে চলছে আর্থিক লেনদেনও, এমনই অভিযোগ ওঠে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৯
No evidence found yet on Calcutta Medical College laboratory case said enquiry committee

মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির তৎকালীন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়। —ফাইল চিত্র।

দুর্নীতির কোনও প্রমাণ মেলেনি, ফলে অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবরেটরিতে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে রোগী কল্যাণ সমিতির তৎকালীন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়কে ক্লিনচিট দিলেন অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস।

Advertisement

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবরেটরিতে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল রোগী কল্যাণ সমিতির তৎকালীন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধে। শুধু তিনি একা নন, অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের কর্মচারী সংগঠনের নেতা জয়ন্ত ঘোষের বিরুদ্ধেও। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে কমিটি গঠন করেছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গত সেপ্টেম্বরে পড়ুয়াদের সংগঠন ‘মেডিক্যাল কলেজ স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’-এর সদস্যেরা অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, হাসপাতালের কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগার (সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি) থেকে বিভিন্ন পরীক্ষার কিট চলে যাচ্ছে বাইরের বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। আবার, ক্রিটিক্যাল কেয়ার থেকে শুরু করে সাধারণ শয্যা পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন চলছে বলেও অভিযোগ ওঠে। সংগঠনের সদস্যরা সুদীপ্ত এবং জয়ন্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন।

তদন্ত শুরু করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। অভিযোগকারীদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও অভিযোগেরই প্রমাণ মেলেনি। তদন্ত কমিটির অন্তর্বর্তী রিপোর্টে প্রকাশ, অভিযোগকারীরা তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি। এ বিষয়ে আরও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। তাই কমিটির এ ব্যাপারে নিষ্পত্তি করতে আও কিছুটা সময় লাগবে।

অন্য দিকে, সুদীপ্তদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেছেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ। ইন্দ্রনীলের কথায়, ‘‘যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের তরফে জিনিসপত্রের হিসাব রাখা হয়। আগে কোনও গরমিল পাওয়া যায়নি। তাই অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’ এ প্রসঙ্গে অভিযোগকারী ডাক্তারি পড়ুয়া অভিষেক সাধু বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত কিছু পাওয়া যায়নি, এ কথা ঠিক। কিন্তু আমরা প্রমাণ খুঁজছি।’’

আরও পড়ুন
Advertisement