যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। — ফাইল চিত্র।
ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা বসানো নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়ালেন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের সংসদ ফেটসু-র সদস্যেরা। সংসদ প্রশ্ন তুলেছে, ‘স্টেক হোল্ডার’দের সঙ্গে বৈঠক না করে কী ভাবে ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিলেন কর্তৃপক্ষ। পরে কলা বিভাগের সংসদ আফসু-র সঙ্গেও বচসা হয় নতুন অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেবের।
সোমবার বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে উপাচার্যের ঘরে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিলেন ফেটসুর সদস্যেরা। তাঁদের অন্যতম দাবি ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্টেক হোল্ডার’দের নিয়ে বৈঠক করতে হবে। তা না-করে কী ভাবে সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিলেন কর্তৃপক্ষ, সেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। এ নিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে উপাচার্যের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রেগে গিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যান বুদ্ধদেব।
সেই সময় বুদ্ধদেবকে ঘিরে ধরেন আফসু-র সদস্যেরা। তাঁরা উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কথা জানান। এ নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে ফের এক চোট কথা কাটাকাটি হয় আফসু-র সদস্যদের। এর পর নিজের ঘরে চলে যান উপাচার্য। তখন তাঁর কাছে স্মারকলিপি জমা করেন আফসু-র সদস্যেরা। সেই সময় উপাচার্যের ঘরের বাইরে বসে ছিলেন বাকি পড়ুয়ারা।
গত ৯ অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার। তার পরেই হস্টেল-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবি ওঠে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায় জানান, ছাত্রদের বাধার কারণেই সিসি ক্যামেরা বসানো যায়নি। এই পরিস্থিতিতে চাপের মুখে বুদ্ধদেব ঘোষণা করেন, শীঘ্রই ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং হস্টেলের ১০টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়। একটি সংস্থাকে ২৬টি সিসি ক্যামেরার বরাত দেওয়া হয় বলে খবর। এর মাঝেই ছাত্র সংগঠনগুলির দাবি, ‘স্টেক হোল্ডার’দের সঙ্গে বৈঠক করেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।