বাগবাজারের গিরিশ মঞ্চে আগুন। ছবি: সংগৃহীত।
নাটক চলাকালীন আগুন বাগবাজারের গিরিশ মঞ্চে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৩টি ইঞ্জিন। তবে আগুন খুব বেশি ছড়িয়ে পড়েনি বলেই জানা গিয়েছে। গিরিশ মঞ্চের কর্মীরাই প্রাথমিক ভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে মঞ্চে আগুন লাগায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে কলাকুশলী ও দর্শকদের মধ্যে। সূত্রের খবর, নাটক দেখতে গিরিশ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তড়িঘড়ি তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা ৬.০৫ নাগাদ আচমকা গিরিশ মঞ্চে আগুন লেগে যায়। সেখানে তখন সুমন মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় একটি নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছিল। হঠাৎ ধোঁয়া এবং আগুন দেখে আতঙ্কে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন দর্শকেরা। কলাকুশলীদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। গিরিশ মঞ্চের কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। খবর দেওয়া হয় দমকলে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছেন মঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
নাটক দেখতে দেখতে দর্শকরা গিরিশ মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর রাস্তায় ভিড় জমে যায়। দর্শকদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ ছিল স্পষ্ট। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঞ্চের একটি দরজায় আগুন লেগেছিল। তা দেখে আতঙ্ক ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও সঙ্গে সঙ্গে প্রেক্ষাগৃহে ঢুকতে দেওয়া হয়নি দর্শকদের। দমকলের সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পর সন্ধ্যা ৭.১৫ নাগাদ ফের মঞ্চের দরজা খুলে দেওয়া হয়।
গিরিশ মঞ্চে নাট্যদল ‘চেতনা’-র ৫০ বছর উপলক্ষ্যে উৎসব চলছে। তার শেষ দিন ছিল বুধবার। গিরিশ মঞ্চে মঞ্চস্থ হচ্ছিল নাটক সুমন মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘মেফিস্টো’। এই নাটকে অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য-সহ নাট্য জগতের একাধিক তারকা ছিলেন।
‘চেতনা’-র পরিচালক সুজন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘৬টায় শো-টাইম ছিল। আমাদের ৬ জন ততক্ষণে স্টেজে উঠে গিয়েছিলেন। হঠাৎ ধোঁয়া দেখা যায়। প্রথমে ভেবেছিলাম সিগারেটের ধোঁয়া। বা গ্রিনরুমের কোথাও থেকে হয়তো ধোঁয়া আসছে। কিন্তু পরে জানা যায় আগুন লেগেছে। সঙ্গে সঙ্গে দমকলে খবর দেওয়া হয়। দর্শকরা সহযোগিতা করেছেন। ৭.১৫ নাগাদ ফের শো শুরু করা গিয়েছে। কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’’