লালবাজারে সিআইএসএফ আধিকারিকেরা। ছবি: পিটিআই।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের পর এ বার লালবাজারে গেলেন সিআইএসএফ কর্তারা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বুধবার সকালেই সিআইএসএফের একটি দল আরজি করে যায়। নেতৃত্বে ছিলেন বাহিনীর ডিআইজি কে প্রতাপ সিংহ। তার পরই লালবাজারে যান তাঁরা। পুলিশের উচ্চ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে দলটি। প্রশ্ন উঠছে, বুধবার থেকেই কি আরজি করের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে সিআইএসএফ? এখনও কোনও স্পষ্ট উত্তর মেলেনি। সূত্রের খবর, লালবাজারে গিয়ে আরজি করের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়েই কথা বলেছেন সিআইএসএফের ডিআইজি।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ হাসপাতালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। কী ভাবে হাসপাতালে ভাঙচুর হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পুলিশের ভূমিকাতেও উষ্মা প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত। নির্দেশনামায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ উল্লেখ করেছে, ওই ভাঙচুরের ঘটনার পর অনেক রেসিডেন্ট চিকিৎসক তাঁদের কর্মস্থল ছেড়েছেন। হাসপাতালের হস্টেলগুলিতে মাত্র ৩০-৪০ জন মহিলা চিকিৎসক এবং ৬০-৭০ জন পুরুষ চিকিৎসক রয়েছেন। ইন্টার্ন, রেসিডেন্ট ডাক্তার ও সিনিয়র চিকিৎসকেরা যাতে কর্মস্থলে ফিরতে পারেন, তার জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছিল শীর্ষ আদালত।
এর পরই সুপ্রিম কোর্ট আরজি করে নিরাপত্তার দায়িত্ব সিআইএসএফ বা সিআরপিএফের হাতে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ সিআইএসএফ কিংবা সিআরপিএফ জওয়ান মোতায়েন করার কথা বলে। তার পরই বুধবার সিআইএসএফের ডিআইজি আরজি কর ঘুরে দেখেন। কথা বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।