মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
সব ঠিকঠাক চললে বাংলা নববর্ষের আগের সন্ধ্যায় উদ্বোধন হবে কালীঘাট স্কাইওয়াকের। উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতি বছর পয়লা বৈশাখের আগের দিন সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রতি বছরের মতো পুজো দিতে ১৪ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তির সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাট মন্দিরে আসবেন। ওই দিনই মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি কালীঘাট স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করবেন তিনি। গত বছর কালীপুজোর আগেও স্কাইওয়াক উদ্বোধনের চেষ্টা করেছিল প্রশাসন। কিন্তু যাবতীয় কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এ বার মার্চের শেষ সপ্তাহে কালীঘাট স্কাইওয়াক নির্মাণের যাবতীয় কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে বলে কলকাতা পৌরসভা সূত্রে খবর। আর তাই পয়লা বৈশাখের উপহারস্বরূপ কালীঘাটে আগত পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে নতুন স্কাইওয়াকের দরজা।
২০১৮ সালে এই প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হলেও কাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাটের স্কাইওয়াক তৈরির নির্দেশ দেন। কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের জানুয়ারিতে। নির্মাণকাজ শুরু করে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দফায় দফায় লকডাউনের জেরে স্কাইওয়াক তৈরির কাজ থমকে গিয়েছিল। ১৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা থাকলেও নিকাশি নালা ও পাইপলাইনের সমস্যার কারণেও বিলম্ব ঘটে। করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি কেটে যেতেই জোরকদমে শুরু হয় স্কাইওয়াক তৈরির কাজ। আর এ বার সেই স্কাইওয়াক উদ্বোধনের অপেক্ষায়। কালীঘাট স্কাইওয়াকের নির্মাণে প্রাথমিক বাজেট ছিল ৭৭ কোটি টাকা। তবে কাজের বিলম্বের কারণে খরচ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৯০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। দক্ষিণ কলকাতার দর্শনার্থীদের কালীঘাট মন্দিরে যাওয়ার সুবিধার্থে নির্মিত কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ শেষের পথে। প্রায় ৫০০ মিটার দীর্ঘ এবং সাড়ে ১০ মিটার চওড়া এই স্কাইওয়াকটি পুণ্যার্থীদের মন্দিরে পৌঁছোনো সহজ করবে।
স্কাইওয়াক নির্মাণের জন্য রিফিউজি হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যতীন দাস পার্কে। চার বছর পর তাঁদের পুনর্বাসন দিয়ে কালীঘাটে তৈরি নতুন এসি মার্কেটে ফিরিয়ে এনে নয়া দোকান দেওয়া হয়েছে। আর তার পরেই প্রহর গোনা শুরু হয়েছে স্কাইওয়াকের উদ্বোধনের। কালীঘাটের আগে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে যেতেও স্কাইওয়াক নির্মাণ করেছে রাজ্য সরকার।