সিজিও দফতরে সন্দীপ ঘোষের গাড়িতে তল্লাশি সিবিআইয়ের। — নিজস্ব চিত্র।
আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। টানা ষষ্ঠ দিনের জন্য সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছেন তিনি। তবে বুধবার রাতে সন্দীপের গাড়িটিতেও তল্লাশি চালানো হল। ডেকে পাঠানো হল তাঁর চালককেও। এখনও সিবিআই দফতরে সন্দীপের গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দফতরের গাড়িতে চড়েন সন্দীপ। তাঁর গাড়িতেও স্বাস্থ্য দফতরের নাম লেখা রয়েছে। সেই গাড়িই বুধবার রাতে আচমকা নিয়ে আসা হয় সিবিআই দফতরে। গোয়েন্দারা সন্দীপের চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁকে গাড়ি নিয়ে সিজিওতে আসতে বলা হয়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই গাড়ি পৌঁছে যায় সিজিওতে। এর পর সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা সেই গাড়িতে তল্লাশি চালান।
গাড়িতে তল্লাশির পর চালককে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় দফতরের ভিতরে। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কিসের খোঁজে সন্দীপের গাড়িতে তল্লাশি চালানো হল, তা স্পষ্ট নয়। তবে এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য, সিজিওতে এক দিনও নিজের গাড়ি নিয়ে যাননি তিনি। যত বার সেখানে হাজিরা দিতে গিয়েছেন, ক্যাব ভাড়া করে গিয়েছেন। অর্থাৎ, প্রথম থেকেই সিবিআই দফতর থেকে নিজের গাড়িটি দূরে রেখেছিলেন সন্দীপ।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকেরা। প্রথম থেকেই তাঁরা সন্দীপের পদত্যাগ দাবি করছিলেন। আন্দোলনের চাপে পড়ে সন্দীপ নিজেই ইস্তফা দেন। তবে সে দিনই তাঁকে অন্য হাসপাতালের অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ করা হয়। সেই নিয়োগ নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আপাতত সন্দীপ ছুটিতে রয়েছেন। তাঁকে শুক্রবার থেকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। প্রতি দিনই সকালে সিজিওতে যাচ্ছেন, রাতে ছাড়া পাচ্ছেন সন্দীপ। এর মাঝে নিরাপত্তা চেয়ে তিনি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল। সন্দীপের বাড়ির সামনে পুলিশ পিকেট রয়েছে। রাজ্যকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।