Jhalda

congress councilor death: তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব, কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে পুলিশের ভূমিকায় ‘অখুশি’ আদালত

মঙ্গলবার মামলাকারীর আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী এবং ঋজু ঘোষাল আদালতে জানান, ওই কাউন্সিলরকে গুলি লাগার কথা কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা জেনেও হাতগুটিয়ে ছিলেন। তাঁরা সময় মতো হাসপাতালে নিয়ে যাননি। যার ফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তপনের। 

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা, পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২২ ১৭:২০
তপন কান্দু খুনে নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের।

তপন কান্দু খুনে নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। ফাইল ছবি।

ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় তিন দিনের মধ্যে কেস ডায়রি এবং তদন্ত রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চের নির্দেশ, শুক্রবারের মধ্যে জেলা পুলিশ সুপারকে এই ঘটনার কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে। কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের তদন্তে পুলিশ কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা-ও জানাতে হবে আদালতকে। আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

দু’সপ্তাহ আগে ঝালদার বাঘমুণ্ডি রোডের বিরসা মোড়ের কাছে খুন হন তপন। ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে টহলদারি ভ্যানে ছিলেন পাঁচ পুলিশকর্মী। মঙ্গলবার মামলাকারীর আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী এবং ঋজু ঘোষাল আদালতে জানান, ওই কাউন্সিলরের গুলি লাগার কথা কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা জেনেও হাতগুটিয়ে ছিলেন। তাঁরা সময় মতো হাসপাতালে নিয়ে যাননি। যার ফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তপনের।

Advertisement

স্বামীর খুনের ঘটনায় পুলিশ জড়িত এবং এখন সেই পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করবে না বলেই মনে করছেন নিহত তপনের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। তাই রাজ্যের তদন্তের প্রতি আস্থা হারিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা নেই। ঝালদার আইসি নিজেই জড়িত ছিলেন। সিবিআই তদন্ত হলে আরও বড় মাথা ধরা পড়তে পারে।’’ মঙ্গলবার হাই কোর্টও এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে।

আরও পড়ুন:

নিহত কাউন্সিলরের ভাইপো তথা তৃণমূল নেতা মিঠুন কান্দুকেও মঙ্গলবার পুলিশি নিরাপত্তার দেওয়ার কথা জানিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য, মিঠুনের সঙ্গে ঝালদা থানার তৎকালীন আইসি’‌র ফোনে কথা হতো বলে অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলে কাকাকে নিয়ে আসার জন্য চাপ পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল বলেও মিঠুন অভিযোগ করেন আইসি’‌র বিরুদ্ধে। আনন্দবাজার অনলাইনকে মিঠুন জানান তিনি প্রাণভয়ে রয়েছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement