কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে নালিশ করেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ। তবে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করতে পারবে না পুলিশ। নিম্ন আদালতও এই বিষয়ে কিছু করতে পারবে না। বুধবার একটি অন্তর্বর্তিকালীন নির্দেশে এমনই জানালেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
একই সঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, বুধবারের মধ্যেই কুন্তলের অভিযোগপত্র হাই কোর্টে পেশ করতে হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা বিচারককে। তা ছাড়া প্রেসেডেন্সি জেল সুপারের মাধ্যমে হেস্টিংস থানায় যে কুন্তলের যে অভিযোগপত্র গিয়েছে সেটা আদালতে পেশ করতে হবে খোদ কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে। বুধবার দুপুর ৩টের মধ্যে তা পেশ করার নির্দেশ দিল হাই কোর্ট।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নামে নালিশ জানিয়ে কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল। নিম্ন আদালতের বিচারকের কাছেও একই মর্মে অভিযোগ জানান তিনি। অন্য দিকে, ইডি এ নিয়ে আদালতে জানায়, প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের মাধ্যমে হেস্টিংস থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা। এর ফলে তাদের তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে।
ইডির বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘এটা মারাত্মক প্রবণতা। তদন্তকারী আধিকারিকদের হুমকি দেওয়া এবং তদন্তের গতি স্তব্ধ করার জন্য এ সব করা হচ্ছে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে এ সব বন্ধ করতে হবে। এই অতিচালাকি বরদাস্ত করা যাবে না।’’