রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেল বিটি রোড। —নিজস্ব চিত্র।
সারা বাংলার মতো আরজি কর হাসপাতালের ধর্ষিতা, নিহত চিকিৎসকের বাড়ির এলাকাতেও মধ্যরাতে নাগরিক জমায়েতে কার্যত জনজোয়ার তৈরি হল। যার জেরে রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেল বিটি রোড। ওই এলাকায় জনারণ্য থেকে উঠল রাজনৈতিক স্লোগানও। যদিও তাতে জমায়েতে কোনও ভাটা পড়েনি।
নিহত চিকিৎসকের বাড়ি যে এলাকায় সেখানে বুধবার রাত ৯টায় জমায়েত হয়েছিলেন পাড়ার লোকেরা। সেই জমায়েতই ছিল কয়েকশো মানুষের। রাত বাড়তেই সেই জমায়েত এগিয়ে যেতে থাকে বিটি রোডের দিকে। অমরাবতী, ঘোলা, মহিষপোতা, কর্ণমাধবপুর-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শয়ে শয়ে মানুষের মিছিল এগোতে থাকে বিটি রোডের দিকে। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায়। রাত ১১টা নাগাদ বিটি রোডের মোড় কার্যত মিনি ব্রিগেড হয়ে ওঠে।
ওই জমায়েত থেকে যেমন আরজি করে নিহত চিকিৎসকের বিচারের দাবি উঠেছে, তেমনই তথাকথিক অরাজনৈতিক জমায়েত থেকে রাজনৈতিক স্লোগানও উঠেছে। সেই সব ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমেও। স্থানীয় বাসিন্দা স্বাতী সরকার ভৌমিক বলেন, ‘‘এটা একটা রাজনৈতিক হত্যা। রাজনৈতিক অপদার্থতার কারণেই আমাদের পাড়ার মেয়েকে অকালে চলে যেতে হয়েছে, তাই মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ধিক্কার জানিয়ে স্লোগান দিয়েছি।’’ আর এক বাসিন্দা অম্লান দত্তের কথায়, ‘‘এত মানুষ রাস্তায় নামবেন ভাবতেও পারিনি। এমন হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রণ করেছেন যাঁদের হয়তো এটাই জীবনের প্রথম মিছিল।’’ এলাকারই অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশকর্মী বলেন, ‘‘নন্দীগ্রাম পর্বে জনজোয়ার আছড়ে পড়েছিল কলকাতায়। এ বার তা পাড়ায় পাড়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এমন আন্দোলন আমার জ্ঞানত আমি দেখিনি।’’