R G Kar Hospital Incident

পড়ুয়া-চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য শিবিরে প্রথম দিনেই সাড়া, কলকাতার সাত কেন্দ্রে প্রায় ৩০০০ জনের চিকিৎসা হল

শনিবার টেলিমেডিসিন পরিষেবা দেওয়ার পর রবিবার রোগীদের সুবিধার জন্য স্বাস্থ্য শিবির চালানোর সিদ্ধান্ত নেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। কলকাতার সাতটি জায়গায় হওয়া এই শিবিরে প্রায় তিন হাজার জনের চিকিৎসা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০০:৩৬
জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য শিবির।

জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য শিবির। নিজস্ব চিত্র।

শুক্রবারই আরজি করের আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকেরা ঘোষণা করেছিলেন, শনিবার থেকে তাঁরা ‘টেলিমেডিসিন’ পরিষেবা দেবেন। সেই মতো শনিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় এই পরিষেবা। শনিবার রাতে 'পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট'-এর তরফে জানানো হয়, জুনিয়র ডাক্তারদের ‘অভয়া ক্লিনিক’-এ প্রথম দিনেই টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে ৫০০ জনের চিকিৎসা করা হয়েছে।

Advertisement

কলকাতা হাই কোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট— জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার জন্য অনুরোধ করেছে। তাঁদের আন্দোলন যে ‘ন্যায্য’ সে কথা মেনে নিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনিও আন্দোলনকারীদের দ্রুত কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। তবে আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট জানান, তাঁদের দাবি মানা না পর্যন্ত কাজে ফিরবেন না তাঁরা। স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে একাধিক বৈঠকেও সুরাহা মেলেনি।

শনিবার টেলিমেডিসিন পরিষেবা দেওয়ার পর রবিবার রোগীদের সুবিধার জন্য স্বাস্থ্য শিবির চালানোর সিদ্ধান্ত নেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া চিকিৎসকেরা কুমোরটুলি এলাকায় স্বাস্থ্যশিবিরটি করেন। একই ভাবে মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা ধর্মতলায়, এসএসকেএমের পড়ুয়ারা রাণুছায়া মঞ্চে, কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যালের পড়ুয়ারা ওই হাসপাতালেরই ২ নম্বর গেটের সামনে, এনআরএসের পড়ুয়ারা হাসপাতালের ১ নম্বর গেটের সামনে, কেপিসির পড়ুয়ারা যাদবপুর এইটবি বাসস্ট্যান্ডে এবং বেহালা ইএসআইয়ের পড়ুয়ারা বেহালায় স্বাস্থ্যশিবির করেছিলেন। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত এই শিবিরগুলি চলে।

শুক্রবারই আরজি করের আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকেরা ঘোষণা করেছিলেন, শনিবার থেকে তাঁরা ‘টেলিমেডিসিন’ পরিষেবা দেবেন। সেই মতো শনিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় এই পরিষেবা। শনিবার রাতে 'পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট'-এর তরফে জানানো হয়, জুনিয়র ডাক্তারদের ‘অভয়া ক্লিনিক’-এ প্রথম দিনেই টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে ৫০০ জনের চিকিৎসা করা হয়েছে।

গত ৯ অগস্ট আরজি করে এক মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর থেকেই হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। এই ঘটনার বিচারের দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দেন তাঁরা। বিচারের পাশাপাশি তাঁদের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আন্দোলনকারীরা। সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি তোলা হয়। জুনিয়র ডাক্তারেরা কাজে যোগ না-দেওয়ায় হাসপাতালের পরিষেবা ব্যাহত হয়।

কলকাতা হাই কোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট— জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার জন্য অনুরোধ করেছে। তাঁদের আন্দোলন যে ‘ন্যায্য’ সে কথা মেনে নিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনিও আন্দোলনকারীদের দ্রুত কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। তবে আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট জানান, তাঁদের দাবি মানা না পর্যন্ত কাজে ফিরবেন না তাঁরা। স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে একাধিক বৈঠকেও সুরাহা মেলেনি।

আরও পড়ুন
Advertisement