Data Collection

বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভাড়াটেদের তথ্য সংগ্রহ করছে সব থানা

নাম ভাঁড়িয়ে শহরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকা আটকাতে প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। সেই সূত্র ধরেই বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভাড়াটের পরিচয় জানতে চাইছে পুলিশ।

Advertisement
শিবাজী দে সরকার
শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:২৩
প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার।

প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নাম ও পরিচয় ভাঁড়িয়ে কলকাতায় লুকিয়ে থাকা কিংবা বাড়ি ভাড়া নিয়ে দুষ্কৃতীদের গা-ঢাকা দিয়ে থাকা নতুন কিছু নয়। নাম ভাঁড়িয়ে কলকাতায় থাকার অভিযোগে মাসখানেক আগেই এক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এ বার নাম ভাঁড়িয়ে শহরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকা আটকাতে প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। সেই সূত্র ধরেই বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভাড়াটের পরিচয় জানতে চাইছে পুলিশ। লালবাজার জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহ থেকেই শহরের প্রতিটি থানাকে বলা হয়েছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভাড়াটে সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে পুলিশের দেওয়া ফর্ম পূরণ করে থানায় জমা দেওয়ার জন্য। সেই সঙ্গে কেউ পেয়িং গেস্ট থাকলে তাঁদের সম্পর্কেও নথি জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও সেই নথি আসল কিনা, সেটা যাচাই করবেন কে, সেই প্রশ্নও রয়ে গিয়েছে।

Advertisement

এক পুলিশকর্তা জানান, ভাড়াটে এবং পেয়িং গেস্টদের সম্পর্কে তথ্য ‘আপডেট’ করার জন্য বলা হয়েছে থানাগুলিকে। পাশাপাশি, পরিচারক এবং পরিচারিকাদের সম্পর্কেও তথ্য জোগাড় করার পরে ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে ওই তথ্য জমা পড়ার পরে সেগুলি খতিয়ে দেখা হবে কিনা, তা নিয়ে কিছু জানাননি পুলিশের ওই কর্তা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাড়াটে বা পেয়িং গেস্টদের সম্পর্কে তথ্য জানানোর জন্য নির্দিষ্ট ফর্ম প্রতিটি থানায় রাখাই থাকে। নাগরিক কিংবা বাসিন্দাদেরই তা পূরণ করে জমা দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু এত দিন প্রায় কোথাওই তা হচ্ছিল না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছিল, কেউ বাড়ি ভাড়া দিলেও ভাড়াটের তথ্য কিংবা পরিচয়ের নথি থানায় জমা দিতেন না। সেই প্রবণতা বন্ধ করতেই থানাগুলিকে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণ শহরতলির এক পুলিশ আধিকারিক জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিতরণ করা ছাড়াও বিভিন্ন বহুতলের কেয়ারটেকার এবং সেখানকার আবাসিক কমিটি বা ম্যানেজমেন্টের কাছে ওই ফর্ম দিয়ে আসা হয়েছে। আবাসিকেরা সেগুলি পূরণ করে দেওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট কেয়ারটেকার বা বহুতল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তা সংগ্রহ
করা হবে। পুলিশের দাবি, এতে যেমন ভাড়াটে কিংবা পরিচারকদের সম্পর্কে তথ্যভান্ডার তৈরি হবে, তেমনই অপরাধের তদন্তেও সুবিধা হবে। যদিও পুলিশের অন্য একটি অংশের মতে, ফর্মে লেখা তথ্য বা জমা দেওয়া নথি আসল না ভুয়ো, তা যাচাই করা না হলে দুষ্কৃতীরা
জেনেশুনে ভুয়ো নথি জমা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে এমন পদক্ষেপের উদ্দেশ্যই মার খাবে।

Advertisement
আরও পড়ুন