Bansdroni Student Death

বাঁশদ্রোণীতে বিক্ষোভ বাড়ছে, মহিলাদের ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ, বিরাট বাহিনী নিয়ে এলাকায় ডিসি

বাঁশদ্রোণীতে বিক্ষোভ বাড়ছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার প্রদীপ ঘোষাল। তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিকেলে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:০৬
বাঁশদ্রোণীতে কলকাতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ শহরতলি) বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত।

বাঁশদ্রোণীতে কলকাতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ শহরতলি) বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত। ছবি: সংগৃহীত।

বাঁশদ্রোণীতে বিক্ষোভ বাড়ছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেননি কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদার। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার প্রদীপ ঘোষাল। তাঁকে ঘিরে স্থানীয়েরা বিক্ষোভ দেখালে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয় বাঁশদ্রোণীতে। এর পর বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ শহরতলি) বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত । তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। শুরু হয় ধরপাকড়ও।

Advertisement
বাঁশদ্রোণীতে বিক্ষোভের মুখে কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার প্রদীপ ঘোষাল।

বাঁশদ্রোণীতে বিক্ষোভের মুখে কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার প্রদীপ ঘোষাল। ছবি: সংগৃহীত।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ছাত্রমৃত্যুকে কেন্দ্র করে তাঁরা যখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, সেই সময় একদল মানুষ তাঁদের উপর হামলা চালান। তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় স্পষ্ট করে কেউ জানাননি। তবে মহিলাদের উপরও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয়েরা কেউ কেউ দাবি করছেন, মহিলাদের গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে। এক বিক্ষোভকারী মহিলাকে রাস্তায় পড়ে থাকতেও দেখা যায়। এর পরেই এসিপিকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়।

স্থানীয় কাউন্সিলরের জন্য সকাল থেকে এলাকার মানুষ অপেক্ষায়। কিন্তু তিনি এলাকায় পৌঁছননি বলে অভিযোগ। আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে একাধিক বার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর ফোন ব্যস্ত ছিল।

এর আগে পাটুলি থানার ওসিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয় বাঁশদ্রোণীতে। তাঁকে কাদাজলে নামিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। কয়েক ঘণ্টা পরে পুলিশের বিশাল বাহিনী গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। তার পর ঘটনাস্থলে যান ডিসি (দক্ষিণ শহরতলি)। তিনি বলেন, ‘‘জেসিবির চালক পালিয়ে গিয়েছেন। তাঁর খোঁজ চলছে। পুলিশকে যাঁরা আটকে রেখেছিলেন, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে। যে মহিলা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁর অভিযোগও আমরা নেব।’’

বাঁশদ্রোণীতে মহালয়ার সকালে এক ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই ছাত্র। ওই এলাকার রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছিল। অভিযোগ, কোচিং সেন্টারে যাওয়ার সময় ছাত্রকে ধাক্কা মারে জেসিবি। গাছের সঙ্গে তাকে পিষে দেয়। মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি। ছাত্রের মৃত্যুর পরেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বাঁশদ্রোণী। রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তা বেহাল। মেরামত করা হয়নি। বুধবারের দুর্ঘটনার জন্য রাস্তার ওই বেহাল দশা এবং প্রশাসনের ব্যর্থতাকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন সাধারণ মানুষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement