Heatwave in West Bengal

আগামী পাঁচ দিনেও তাপপ্রবাহের আশঙ্কা! কোথায় কোথায় বৃদ্ধি পেতে পারে তাপমাত্রা?

বৈশাখের শুরুতেই প্রবল তাপের শিকার দক্ষিণবঙ্গবাসী। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার তুলনায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:৫৭
Representative image of summer season in Kolkata

জোলো হাওয়া প্রবেশ না করায় রাজ্যে অনবরত বয়ে চলেছে গরম বাতাস। —ফাইল চিত্র।

শুকনো গরম বাতাস এবং সূর্যের তাপে পুড়ছে কলকাতা-সহ সারা পশ্চিমবঙ্গ। বৃষ্টির কোনও লক্ষণ আপাতত দেখা যাবে না বলে জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকেরা। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিতে নাজেহাল রাজ্যবাসী। রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার তুলনায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির আশপাশে থাকবে বলে হাওয়া দফতর সূত্রে খবর। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার তুলনায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

বৈশাখের শুরুতেই প্রবল তাপের শিকার দক্ষিণবঙ্গবাসী। এর প্রভাব পড়েছে উত্তরবঙ্গেও। জোলো হাওয়া প্রবেশ না করায় রাজ্যে অনবরত বয়ে চলেছে গরম বাতাস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ৪ থেক ৫ দিন তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে। বিশেষ করে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় আগামী ৫ দিনে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।

Advertisement

ক্রমে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় রবিবার একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির কথা ঘোষণা করেন। তার পরেই নির্দেশিকা জারি করে বিকাশ ভবনের তরফে জানানো হয় যে, ১৭ এপ্রিল থেকে শুরু করে আগামী সাত দিন পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত সরকারি, বেসরকারি এবং কেন্দ্রীয় সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল বন্ধ থাকবে।

তবে বিকাশ ভবনের তরফে এও জানানো হয় যে, পরবর্তী নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধই থাকবে। দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে স্কুল যদিও খোলা থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সময়কালে ছাত্রছাত্রী-সহ স্কুলের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদেরও ছুটি থাকবে। তবে স্কুল খোলার পর যেন পড়াশোনার কোনও ক্ষতি না হয়, তাই পড়ুয়াদের স্বার্থে স্কুলের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানায় বিকাশ ভবন।

Advertisement
আরও পড়ুন