Kolkata Police

গার্ডেনরিচ থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল টাকা, সেই আমির খানের আরও ২০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত

পুলিশ জানতে পারে এই সব অ্যাকাউন্ট থেকে অবৈধ উপায়ে টাকার লেনদেন করা হত। ক্রিপ্টোকারেন্সিতেও টাকা বিনিয়োগ করা হত। অ্যাকাউন্টগুলির নথিপত্র যাচাই করেই বিপুল অর্থের সন্ধান পায় পুলিশ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২২ ১৮:১০
গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খান। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা (ডান দিকে)।

গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খান। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা (ডান দিকে)।

গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের আরও ২০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল কলকাতা পুলিশ। আগেই আমিরের সল্টলেকের অফিসে হানা দিয়ে ১৫০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছিল পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে এই সব অ্যাকাউন্ট থেকে অবৈধ উপায়ে টাকার লেনদেন করা হত। ক্রিপ্টোকারেন্সিতেও টাকা বিনিয়োগ করা হত। অ্যাকাউন্টগুলির নথিপত্র যাচাই করেই বিপুল অর্থের সন্ধান পায় পুলিশ। এ বার সেই সমস্ত অ্যাকাউন্টের ২০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ।

প্রসঙ্গত, কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-ও আমিরের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের তদন্তে নেমে গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল গলি, পার্ক স্ট্রিট, মোমিনপুরের বন্দর এলাকা, নিউটাউন-সহ শহরের ছ’টি জায়গায় অভিযান শুরু করেছিল ইডি। তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। আমিরের ঘরের খাটের তলা থেকে বান্ডিলের পর বান্ডিল নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। মোট ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। যা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে। কিন্তু আমিরের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে ২৩ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।

Advertisement

তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র তরফে জানানো হয়, একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে বহু গ্রাহককে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে আমির-সহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। এই ঘটনায় আগেই ছ’জনকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ, পরে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন
Advertisement