(বাঁ দিকে) বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক। কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা। (ডান দিকে) —ফাইল চিত্র।
পুর নিয়োগ মামলায় আবার ইডি দফতরে গেলেন কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা। এর আগেও এক দিন তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল। রাজ্যের পুরসভাগুলিতে নিয়োগ সংক্রান্ত যে ‘দুর্নীতি’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে, তাতে গোপাল কোনও ভাবে জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সোমবার আবার তাঁকে তলব করা হয়। সকাল সকাল সিজিওতে ঢুকতে দেখা গিয়েছে গোপালকে। পাশাপাশি বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিকও ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছেন।
বেশ কিছু নথি নিয়ে ইডি দফতরে ঢোকেন কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান। তাঁর হাতে একটি ফাইল ছিল। সেই নথি জমা দিতেই তিনি সিজিওতে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেলে ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে যান গোপাল।
রেশন বণ্টনে ‘দুর্নীতি’র সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে যে দিন ইডি গ্রেফতার করল, সে দিনই কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন গোপাল। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তার পরের দিন একটি মিছিল করেন গোপাল। সেখান থেকে তিনি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সংস্থা যত বার তাঁকে ডাকবে, তত বার তিনি হাজিরা দেবেন। যা তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হবে, সব কিছুর উত্তরও দেবেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমাকে যখনই ডাকছে, যাচ্ছি। যা প্রশ্ন করছে, উত্তর দিচ্ছি। ওরা একটা তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তের প্রয়োজনে আমাকে ডাকতেই পারে। তাতে সময় লাগছে ঠিকই, কিন্তু ওরা ওদের কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে আমি ‘হেনস্থা’ শব্দটা ব্যবহার করতে চাই না।’’
পুর নিয়োগে দুর্নীতির বিষয়টি দেখছে সিবিআইও। তারা সেপ্টেম্বর মাসে কামারহাটি পুরসভার কাছ থেকে বেশ কিছু নথি চেয়ে পাঠিয়েছিল। পুরসভার ৩৪ জন কর্মীকেও তলব করা হয়েছিল। কামারহাটির পাশাপাশি বরানগর পুরসভার নামও দুর্নীতি মামলায় জড়িয়েছে। অপর্ণার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে আগেই।
প্রসঙ্গত, কামারহাটি তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের বিধানসভা কেন্দ্র। এর আগে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযানের অভিযোগ তুলে পুরসভায় গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মদন। তার পর দেখা যায়, তাঁর বাড়িতেও সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছে। ভবানীপুর এবং দক্ষিণেশ্বরে মদনের দু’টি বাড়িতে পুর নিয়োগ সংক্রান্ত তদন্তে হানা দেয় সিবিআই। মদনকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। ওই একই দিনে সিবিআইয়ের একটি দল গিয়েছিল কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতেও।