প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। —ফাইল চিত্র।
হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে গিয়েছেন রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রেসিডেন্সি জেলে ফিরে গিয়েছেন তিনি। বুধবার জেল কর্তৃপক্ষ আদালতে সেই তথ্য জানিয়েছেন। জ্যোতিপ্রিয় আদালতের শুনানিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিতও ছিলেন।
শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল জ্যোতিপ্রিয়কে। রেশন মামলায় তাঁকে ইডি গ্রেফতার করেছিল। গত বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। শুনানির সময়ে জেল কর্তৃপক্ষের তরফে আদালতে জানানো হয়, কয়েক দিন ধরে জ্যোতিপ্রিয় হাসপাতালে। এতে ইডি অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। জ্যোতিপ্রিয়ের শারীরিক অসুস্থতার কথা বা তাঁর হাসপাতালে ভর্তি থাকার কথা কেন্দ্রীয় সংস্থাকে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। ইডির বক্তব্য ছিল, যে হেতু তারাই জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেফতার করেছিল, তাই সৌজন্যের খাতিরে হলেও প্রাক্তন মন্ত্রীর হাসপাতালে ভর্তি থাকার কথা তাদের জানানো উচিত ছিল জেল কর্তৃপক্ষের।
বুধবার জ্যোতিপ্রিয়ের মামলার আবার শুনানি ছিল। আদালতে জেল কর্তৃপক্ষ জানান, হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তার পর ভার্চুয়াল মাধ্যমে তিনি শুনানিতে যোগও দিয়েছেন।
গত বছরের অক্টোবর মাসে রেশন মামলায় জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। গ্রেফতারির পর থেকেই তাঁর একাধিক শারীরিক সমস্যার কথা উঠে আসে। বেশ কয়েক বার তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। কখনও রক্তচাপের সমস্যা, কখনও বুকে ব্যথা অনুভব করার কারণে তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল হাসপাতালে। গ্রেফতারির পরে আদালতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তার পর থেকে কখনও এসএসকেএম হাসপাতালে, কখনও আবার জ্যোতিপ্রিয়ের পছন্দের অন্য কোনও হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আগেই জানিয়েছিল, এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন মেয়ের হাতে একটি চিঠি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। পরে সেই চিঠি তাঁর কেবিনের বাইরে মোতায়েন থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মারফত তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে পৌঁছয়। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। ওই চিঠিতে রেশন দুর্নীতির টাকা লেনদেনের তথ্য রয়েছে বলে দাবি করেছিল ইডি। চিঠির হাতের লেখা পরীক্ষার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।
অতীতে সংবাদমাধ্যমের সামনেও একাধিক বার নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। বিভিন্ন সময়ে তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। কিন্তু তা মঞ্জুর হয়নি।