জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। —নিজস্ব চিত্র।
নিজেকে আরও এক বার মুক্ত বলে দাবি করলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় (বালু) মল্লিক। তবে এ বার এই দাবির সঙ্গে জুড়ে নিলেন তদন্তকারী সংস্থা ইডিকেও। সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে ঢোকার আগে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, “আমি মুক্ত। আমি মুক্ত। ইডি বুঝতে পেরেছে যে, আমি মুক্ত।” তবে কী প্রেক্ষিতে তিনি এই দাবি করছেন, তা স্পষ্ট নয়। অন্য দিকে, ইডি সূত্রে খবর, ফের মন্ত্রীকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানাবে তারা।
সোমবার সকালে নিজেকে আরও এক বার ‘নির্দোষ’ বলেও দাবি করেন জ্যোতিপ্রিয়। সোমবার আদালতে পেশ করার আগে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য তাঁকে বার করা হয়। ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে জ্যোতিপ্রিয় তিন বার বলেন, “আমি নির্দোষ। আমি নির্দোষ। আমি নির্দোষ।”
তার পরই জ্যোতিপ্রিয়কে বলতে শোনা যায়, “এরা যা করেছে, অন্যায়, অনৈতিক কাজ করেছে।” এর পাশাপাশি আদালতের উপর ভরসা রাখার ইঙ্গিত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, “কোর্ট নিশ্চয়ই বিচার করবে।” তবে কে বা কারা ‘অন্যায়’ কিংবা ‘অনৈতিক’ কাজ করেছে, জ্যোতিপ্রিয়ের সোমবারের কথায় তা স্পষ্ট হয়নি। জ্যোতিপ্রিয় জানান, তিনি ‘অসুস্থ’।
রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলায় ইডি হেফাজতে থাকা বালুকে সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়েছে। গত শুক্রবার ইডি-র সঙ্গে হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষায় যাওয়ার পথে জ্যোতিপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের সামনে ‘দিন চারেক পরেই সবাই সব কিছু জানতে পারবেন’ বলে মন্তব্য করেন। এর ভিত্তিতেই মন্ত্রী আদালতে ‘বোমা ফাটাতে পারেন’ বলে জল্পনা শুরু হয়।
জ্যোতিপ্রিয় এ-ও দাবি করেছিলেন যে, তিনি নির্দোষ। পাশাপাশি তাঁর দাবি ছিল, বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন। গত শুক্রবার বালু বলেন, “আমি চক্রান্তের শিকার। বিজেপি আমায় ফাঁসিয়েছে। মমতাদি-অভিষেক সব জানে।” তিনি দলের সঙ্গে রয়েছেন কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেছিলেন, “আমি দলের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকব।” খুব তাড়াতাড়ি তিনি ছাড়া পাবেন বলেও দাবি করেন জ্যোতিপ্রিয়। নিজেকে ‘মুক্ত’ বলে দাবি করার পর জ্যোতিপ্রিয়কে খাপছাড়া ভাবে বলতে শোনা যায়, “আর চার দিন পর...।” এই মন্তব্যটি সম্পূর্ণ না করেই গাড়িতে উঠে যান তিনি। জ্যোতিপ্রিয়কে এ-ও বলতে শোনা যায় যে, “দু’দিনের মধ্যে সব প্রকাশ হবে।” এই দু’দিন এবং চার দিনের কথা জ্যোতিপ্রিয় কেন বললেন, তা অবশ্য স্পষ্ট হয়নি।