—প্রতীকী ছবি।
২০ বছর আগের ঘটনা। পরিচয় হয় দু’জনের। তা প্রণয় পর্যন্তও গড়ায়। কিন্তু পরিণয় আর হয়ে ওঠেনি। অন্যত্র বিয়ে করে চলে গিয়েছিলেন প্রেমিকা। ২০ বছর পর সেই মেয়েকেই আবার সমাজমাধ্যমে খুঁজে পেলেন প্রাক্তন প্রেমিক। আবার কথা শুরু হয় দু’জনের। হোটেলে গিয়ে দেখাসাক্ষাৎও করলেন। মদ খেতে খেতে পুরনো ঘটনা নিয়েই কথা বলছিলেন তাঁরা। সেই সময় আচমকাই ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রাক্তন প্রেমিকার শরীরে এলোপাথাড়ি কোপ!
নদিয়ার একটি হোটেলে ঘটনাটি ঘটেছে। মধ্যবয়স্ক ওই মহিলার রক্তাক্ত দেহ হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার করেন হোটেলের কর্মীরা। তাঁরাই তাঁকে তড়িঘড়ি স্থানীয় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে। রবিবার রাতে আক্রান্ত মহিলাই অভিযুক্ত প্রাক্তন প্রেমিক রঞ্জিত সরকারের বিরুদ্ধে পুলিশে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলা জানিয়েছেন, বছর কুড়ি আগে কৃষ্ণগঞ্জের বাসিন্দা রঞ্জিতের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু পরে নানা কারণে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। বিয়ে করেন জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি থানা এলাকার এক যুবককে। কয়েক দিন আগে রঞ্জিতের সঙ্গে আবার সমাজমাধ্যমে তাঁর যোগাযোগ হয়। দু’জনে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো মাজদিয়া শিবনিবাস মন্দিরেও যান তাঁরা। পরে সেই মন্দিরের পাশে একটি লজে ঘর ভাড়া নেন দু’জন। সেখানে মদ খেতে খেতে গল্প করার সময় তাঁর উপর রঞ্জিত হামলা করেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। মহিলার বক্তব্য, মত্ত অবস্থায় ২০ বছর আগের কথা টেনে এনে তাঁর বিরুদ্ধে বারবার বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুলছিলেন রঞ্জিত। তার পরেই হঠাৎ চাকু দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকেন। তাতে সংজ্ঞা হারান মহিলা। তিনি বলেন, ‘‘২০ বছর আগে বন্ধুত্ব ছিল। ভাবতে পারিনি যে, এত বছর ধরে ওই রাগ পুষে রেখেছে। প্রতিশোধ নিতেই যে ডেকেছিল, বুঝতে পারিনি।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত রঞ্জিত। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার কে অমরনাথ বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’