Calcutta High Court

পদ্মপ্রার্থী অভিজিতের মামলা শুনতে রাজি হলেন না বিচারপতি সেনগুপ্ত, দেখালেন ব্যক্তিগত কারণ

নির্বাচনী প্রচারে সমস্যা হচ্ছে। এই যুক্তি দিয়ে হাই কোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজ করার আর্জি জানান অভিজিৎ। মঙ্গলবার মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২৪ ১৩:৩১
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র

তমলুক কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মামলা ছেড়ে দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মামলা শুনতে রাজি হননি তিনি। পরিবর্তে মামলাটি কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে পাঠিয়ে দেন বিচারপতি সেনগুপ্ত।

Advertisement

নির্বাচনী প্রচারে সমস্যা হচ্ছে। এই যুক্তি দিয়ে হাই কোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজ করার আর্জি জানান অভিজিৎ। মঙ্গলবার মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল।

গত ৫ মে তমলুকে অভিজিতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, হামলা ও ভাঙচুর-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়। অস্ত্র আইনেও মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে, প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন এসএসসি মামলার রায়ে চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। আদালত সূত্রে খবর, সেই এফআইআর খারিজের আর্জি জানিয়েই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন অভিজিৎ।

মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই মিছিল তমলুক হাসপাতাল মোড়ে চাকরিহারা শিক্ষকদের অনশনমঞ্চের কাছে পৌঁছতেই গন্ডগোল শুরু হয়। স্লোগান, পাল্টা স্লোগান, ধাক্কাধাক্কিতে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। দাবি, বিজেপির মিছিল যাওয়ার সময় অভিজিৎ ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে ‘চোর-চোর’ স্লোগান তোলা হয়। সেই সময় মিছিল থেকে কয়েক জন জুতো নিয়ে চাকরিহারাদের অনশনমঞ্চের দিকে তেড়ে যান বলে অভিযোগ। মঞ্চের চেয়ার ভাঙচুরের পাশাপাশি ইট-পাটকেলও ছোড়া হয়। ওই ঘটনায় অনশনমঞ্চে উপস্থিত একাধিক চাকরিহারা শিক্ষক আহত হন বলে অভিযোগ। এর পরেই অভিজিৎ-সহ বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে তমলুক থানায় এফআইআর দায়ের হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement