স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। —নিজস্ব চিত্র।
মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে সোমবার দলের তরফে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার স্বাস্থ্য ভবনের সামনে যে অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন তাতে হাতে গোনা কর্মী-সমর্থককেই দেখা গেল। প্রসঙ্গত, একই বিষয়ে সম্প্রতি স্বাস্থ্য ভবন ‘অভিযান’ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। দলের কর্মসূচিতে এ দিন লোক না হওয়া নিয়ে সুকান্ত ‘পুলিশের বাধা’কেই দায়ী করেছেন।
অবস্থান-কর্মসূচির আগের দিন রাতেই মঞ্চ বাঁধা নিয়ে পুলিশ-বিজেপি অশান্তি বেধেছিল। তার পরে, এ দিন পণ্যবাহী গাড়িতে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে সভা করেছে বিজেপি। এই সূত্রেই সুকান্ত টেনে এনেছেন অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির প্রসঙ্গ। তিনি বলেছেন, “রামলালা ৪০০ বছর অস্থায়ী সিংহাসনে ছিলেন। তাঁকে স্থায়ী মন্দির করে দিয়েছি! তাই বিজেপি কী করে অস্থায়ীকে স্থায়ী করতে হয়, সেটা জানে।”
সুকান্ত ছাড়াও এ দিনের কর্মসূচিতে ছিলেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল প্রমুখ। অগ্নিমিত্রার অভিযোগ, “সরকারি হাসপাতালে বিষ স্যালাইন ব্যবহার হচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানেন না, শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষা, খাদ্যমন্ত্রী চাল চুরি করেন আর মুখ্যমন্ত্রী জানেন না! আপনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কাকে এবং কেন বাঁচাতে চাইছেন, তা আমরা জানি।” এই সূত্রেই, আর জি কর-কাণ্ডের সঙ্গে মেদিনীপুরে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার প্রচারের তুলনাও টেনেছেন দিলীপ। তাঁর বক্তব্য, “কলকাতার একটা মেয়ে মারা গিয়েছে বলে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ল। কিন্তু মেদিনীপুরে যেটা ঘটল, তা-ও কম কিছু নয়!” পাশাপাশি, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের নিশানা করে দিলীপ বলেছেন, “কিছু বজ্জাত নেতা হয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন। এখন মডেলিং করছেন। একটা মেয়ের মৃত্যু নিয়ে এঁরা ব্যবসা করলেন।”