বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
তিন মাসেও আদালতের নির্দেশ কার্যকর করেননি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি। তাই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে যদিও পর্ষদের আইনজীবীর আর্জি মেনে জরিমানার নির্দেশ এবং পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহার করে নেন বিচারপতি। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন, তিন মাস ধরে একটা নির্দেশ কার্যকর করতে পারলেন না ডেপুটি সেক্রেটারি। তাই তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। বা তাঁর বিরুদ্ধে অন্য পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
বিচারপতি এ-ও জানান যে, নিজের পকেট থেকে জরিমানার অর্থ দিতে হবে ডেপুটি সেক্রেটারিকে। বিচারপতির ওই পর্যবেক্ষণের ফলে ওই পর্ষদকর্তার চাকরি থাকবে কি না, তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছিল। তারপরই জরিমানার নির্দেশ এবং ওই পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহারের আর্জি জানান পর্ষদের আইনজীবী। ২০১৪ সালের প্রাথমিকের টেট পরীক্ষায় ছ’টি প্রশ্ন ভুল ছিল। পরে আদালত ওই ছ’টি প্রশ্নের জন্য পরীক্ষার্থীদের নম্বর দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু এক পরীক্ষার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়ে জানান, তিনি ওই ছ’নম্বর পাননি। ওই নম্বর পেলে তিনি টেট উত্তীর্ণ হতে পারবেন বলেও জানিয়েছিলেন ওই পরীক্ষার্থী।
আদালত ওই পরীক্ষার্থীর নথি যাচাই করে ওই নম্বর দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কাজটি শেষ করার সময়সীমাও বেঁধে দেয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও আদালতের নির্দেশ কার্যকর হয়নি। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে, আদালতের নির্দেশ কার্যকর করার না জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কর্তাকে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত।