সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে ক্যালোরি পোড়ে বেশি। ছবি: সংগৃহীত।
‘কত দূর আর কত দূর!’
একতলার একেবারে শেষ ধাপে দাঁড়িয়ে পাঁচতলায় উঠতে হবে ভাবলে এই গানটাই মাথায় আসে। তার উপর হাতে বাজারের ভারী থলে কিংবা কাঁধে ল্যাপটপের ‘বোঝা’ থাকলে তো কথাই নেই। কিন্তু লিফ্ট থাকতে হঠাৎ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সিঁড়ি চড়তে যাবেন কেন?
নিজের কাছে পণ করেছেন, হুবহু না হলেও শরীরের গঠন দীপিকা পাড়ুকোন কিংবা ভিকি কৌশলের মতো হতে হবে। তাই সারা দিনে যখন যেমন সুযোগ পাবেন, কসরত করে নেবেন। কোনও দিন যদি জিমে যেতে না পারেন, তা হলেও সমস্যা হবে না। আবার কোনও দিন যদি একটু বেশি খানাপিনা হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রেও ক্যালোরি পোড়ানো সহজ হবে। কত ধানে কত চাল, থুড়ি, কতগুলি সিঁড়ি ভাঙলে মেদ ঝরানো সহজ হবে, তা জানেন?
ওজন ঝরানোর জন্য সিঁড়ি ভাঙার মতো ব্যায়াম ভাল কেন?
শরীরচর্চার তো বিভিন্ন পর্যায়, ধরন রয়েছে। জিমে গিয়ে যদি ‘হাই-ইনটেনসিটি এক্সারসাইজ়’ করার উপায় না থাকে, সে ক্ষেত্রে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা তো করাই যায়। প্রশিক্ষকেরা বলছেন, সমতল, সোজা রাস্তায় হাঁটার তুলনায় তা অনেক ভাল। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে ক্যালোরি পোড়ে বেশি। কোয়াড্রিসেপ্স, হ্যামস্ট্রিং, কাফ মাস্ল-এর বিশেষ উপকার হয়। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময়ে যে হেতু হার্ট রেট বেড়ে যায়, তাই ক্যালোরিও পোড়ে দ্রুত। প্রশিক্ষকেরা বলছেন, নিয়ম মেনে, সঠিক পদ্ধতিতে সিঁড়ি ভাঙলে মিনিটে প্রায় ৮ থেকে ১১ ক্যালোরি পোড়ানো সম্ভব।
সারা দিনে কতগুলি সিঁড়ি চড়া উচিত?
প্রশিক্ষকেরা বলছেন, তেমন কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলে সারা দিনে অন্ততপক্ষে আধ ঘণ্টা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা যেতেই পারে। পা হিসাবে গুনলে যা প্রায় ৫০০ থেকে ৭০০ স্টেপের মতো। তবে প্রথমেই খুব বেশি বার সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা না করে ধীরে ধীরে স্টেপের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। মনের মতো ফল পেতে ধারাবাহিকতাও বজায় রাখতে হবে। সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করার অভ্যাস করতে হবে। কিন্তু তাতেই যে তফাত নজরে পড়বে, এমনটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না। কার শরীরে সিঁড়ি ভাঙার ফল কেমন হবে, তা ওই ব্যক্তির দেহের ওজন, সিঁড়ির প্রকৃতি এবং সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করার গতির উপরেও নির্ভর করে।