— প্রতীকী চিত্র।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির চার্জ গঠন প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় আদালত। অথচ তদন্তকারী সংস্থা ইডি এখনও সব অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং সংস্থাকে নোটিস জারি করে উঠতে পারেনি! বুধবার চার্জ গঠন সংক্রান্ত শুনানিতে এ কথা শুনে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কলকাতার বিচার ভবনের বিশেষ সিবিআই কোর্টের বিচারক। তিনি বলেন, “ইডি নিজের দায়িত্ব পালন করছে না। শীতকালীন ছুটি পড়ার আগে চার্জ গঠন এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। অথচ তদন্তকারী অফিসারেরা সব অভিযুক্ত এবং সংস্থাকে নোটিস জারি করতে পারেননি। সব অভিযুক্তকেও আদালতে উপস্থিত করতে পারেননি।” রীতিমতো কটাক্ষের সুরে বিচারকের মন্তব্য, “হস্টেলের ছাত্রদের মতো পরীক্ষার দশ মিনিট আগে ঘুম থেকে উঠে পোশাক পরে পেন নিয়ে পরীক্ষা দিতে দৌড়নোর মতো অবস্থা ইডির!”
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট ইডির মামলায় জেল হেফাজতে থাকা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের শর্ত অনুযায়ী দ্রুত চার্জ গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে নিম্ন আদালতে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এই মামলায় ২৯ জন ব্যক্তি এবং ২৫টি সংস্থাকে অভিযুক্ত করে সম্প্রতি আদালতে পঞ্চম সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। তার পরেই সব অভিযুক্ত এবং সংস্থাকে মামলার নথি এবং নোটিস জারি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। এ দিন সেই নির্দেশ এখনও পালন না হওয়ায় বিচারক অসন্তোষ প্রকাশ করার পাশাপাশি ইডিকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি শুক্রবার।
এ দিন শুনানিতে সংশোধনাগার থেকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শান্তনু বন্দোপাধ্যায়, অয়ন শীল-সহ জেল হেফাজতে থাকা অভিযুক্তেরা। পার্থের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সশরীর আদালতে হাজির হন। কয়েকটি অভিযুক্ত সংস্থার আইনজীবীরাও ছিলেন। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র এবং লিপস অ্যান্ড বাউডন্স সংস্থার আইনজীবী সোমনাথ সান্যাল বলেন, “লিপস অ্যান্ড বাউডন্স সংস্থার তরফে আদালতে নথি পেশ করা হয়েছে। তবে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র সিবিআই হেফাজতে আছেন। আদালতকে তা জানানো হয়েছে।” পার্থের আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী বলেন, “চার্জ গঠন এবং বিচার প্রক্রিয়ার জন্য ইডিকে সব আইনি নথি আদালতে পেশ করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি নথি সংগ্রহের ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা থেকে গিয়েছে বলে মনে হয়।”