Grameen Haat Project

অবশেষে চালু গ্রামীণ হাট

রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং বস্ত্র দফতরের উদ্যোগে জেলায় গ্রামীণ হাট তৈরি হয় হেলিপ্যাড সংলগ্ন এলাকায়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা ঢাকা
 ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:২০
গ্রামীণ হাটে জিনিসপত্র কিনছেন জেলাশাসক ও মন্ত্রী। 

গ্রামীণ হাটে জিনিসপত্র কিনছেন জেলাশাসক ও মন্ত্রী।  নিজস্ব চিত্র।

মহাজনদের হাত থেকে বাঁচতে গ্রামের হস্তশিল্পী ও কারুশিল্পীদের জন্য বাজার তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকল্পের নাম দিয়েছিলেন ‘গ্রামীণ হাট’। সেখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা তাঁদের হাতে তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারবেন। তৈরির পর নানা জটিলতায় সেটি সাত বছর পড়েছিল। অবশেষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চালু হল সেই ‘গ্রামীণ হাট’। বুধবার সেটির উদ্বোধন করেন বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। তিনি বলেন, ‘‘যে ভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল দেখে খুবই মন খারাপ হত। জেলাশাসক এটিকে জীবিত করে তুলেছেন।’’

Advertisement

রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং বস্ত্র দফতরের উদ্যোগে জেলায় গ্রামীণ হাট তৈরি হয় হেলিপ্যাড সংলগ্ন এলাকায়। ২০১৭ সালে পৃথক ঝাড়গ্রাম জেলা হওয়ার আগেই তৈরি হয়েছিল গ্রামীণ হাটটি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে এলাকাটি গাছ ও ঝোপঝাড়ে ভরে যায়। বাড়ছিল অসামাজিক কাজকর্ম। জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ২০২৩ সালের মে মাসে ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনকে গ্রামীণ হাটটি হস্তান্তর করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। সেটি সংস্কারে ১৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়। জেলা শিল্প কেন্দ্রের উদ্যোগে ঝাড়গ্রাম রুরাল হাট বেনিফিসিয়ারিস ওয়েলফেয়ার সোসাইটি গঠন করা হয়েছে। গ্রামীণ হাটটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওই সোসাইটিকে। যেখানে স্ব-সহায়ক দলের মহিলারা রয়েছেন। ওই গ্রামীণ হাটে একটি হলঘর রয়েছে। প্রথম তলা ও দ্বিতীয় তলা মিলিয়ে ৪৩টি স্টল রয়েছে। হলঘরটিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। পরিকল্পনা ছিল ওই মহিলারা প্রশিক্ষণ নিয়ে সেখানেই শালপাতার তৈরি থালা, বাটি, আচার, বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র, মধু ও বিভিন্ন হস্তশিল্প এবং কারুশিল্পের বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করবেন। ঝাড়গ্রামে বেড়াতে আসা পর্যটকরাও হস্তশিল্পী ও কারুশিল্পীর তৈরির জিনিসপত্র সরাসরি এখান থেকে কিনতে পারবেন।

গ্রামীণ হাটটি সচল করতে গিয়ে বার বার ব্যর্থ হয় প্রশাসন। কারণ, গ্রামীণ হাটটি একপাশে ছিল। কিন্তু নতুন জেলা কালেক্টরেট রাজ কলেজ মাঠে চালু হওয়ার পর গ্রামীণ হাটটির গুরুত্ব বেড়েছে। কারণ, নতুন জেলা কালেক্টরেটের কিছুটা দূরেই রয়েছে গ্রামীণ হাটটি।

জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন পড়ে থাকার ফলে সংস্কার করা হয়েছে। এতদিন একপাশে ছিল জায়গাটি। কিন্তু এখন এর পাশেই কলেজ ও জেলা কালেক্টরেট রয়েছে। ভেতরে মুক্তমঞ্চ রয়েছে। প্রতিদিনই খোলা থাকবে। পর্যটকদের কাছেও এটি বাড়তি আকর্ষণ হবে। এখানে নানা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন