Jadavpur University

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনের চূড়ান্ত বৈঠক নিয়ে ক্ষুব্ধ আচার্য, জবাব চাইল রাজভবন

সমাবর্তনের সমস্ত প্রস্তুতি সারার পর কেন তা জানানো হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে তার কারণ জানতে চাইল রাজভবন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:৪২
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

যাদবপুরের সমাবর্তনে রাজ্যপালের আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল আগেই। এ বার বিভিন্ন প্রশ্ন তুলে উপাচার্যকে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। বিশ্ববিদ্যালয় স্ট্যাটুট উল্লেখ করে অনুমতি নেওয়া কেন হয়নি, তার জবাব চাইল রাজভবন। চিঠিতে প্রশ্ন, এগজিকিউটিভ কমিটি(ইসি)-র বৈঠক এত দেরি করে হল কেন? সমাবর্তনের সমস্ত প্রস্তুতি সারার পর কেন রাজভবনকে জানানো হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে তার কারণ জানতে চাইল রাজভবন।

Advertisement

২৪শে ডিসেম্বর যাদবপুরের সমাবর্তন। আর সেই সমাবর্তনের জন্য ১৭ই ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইসি বৈঠক হয়। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর মিলিয়ে কতজনকে ডিগ্রি দেওয়া হবে তা এই বৈঠকে ঠিক হয়। নিয়ম অনুযায়ী এই বৈঠকের পর বিশ্ববিদ্যালয় তরফ থেকে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হল তা রাজভবনকে জানানো হয়। এ বার তা জানানো হয়নি রাজ ভবনকে, এমনটাই চিঠিতে উল্লেখ করেছে রাজভবন। পাশাপাশি রাজভবনের কোন‌ও অনুমতিও গ্রহণ করা হয়নি।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের সমস্ত প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। আমরা চাই না এই সমাবর্তন ঘিরে কোন জটিলতা দেখা দিক। আশা করব জটিলতা সমাধান হবে।"

আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে এ বারও সাম্মানিক ডিলিট বা ডি এসসি দেওয়া হবে না। শুধু পড়ুয়াদের ডিগ্রি দেওয়া হবে। এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন আইআইটি খড়্গপুরের প্রাক্তন অধিকর্তা অমিতাভ ঘোষ।

ইসি বৈঠকে সমাবর্তনের সমস্ত বিষয়ে চূড়ান্ত হলেও, বিধি মেনে কোর্টের বৈঠক ডাকতে হয়। সে ক্ষেত্রে আচার্যের অনুমতি প্রয়োজন হয়। তার আগেই রাজভবন থেকে জবাব চেয়ে চিঠি দেওয়া হল বিশ্ববিদ্যালয়কে।

উল্লেখ্য, গত বছর সমাবর্তন ঘিরে চূড়ান্ত বিতর্ক দেখা দেয়। রাজ্যপাল সমাবর্তন করতে বারণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। তৎকালীন অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ সেই আপত্তি না মেনে সরকারের অনুমতি নিয়ে সমাবর্তনের আয়োজন করেন। আর সমাবর্তনের ঠিক আগের রাতে বুদ্ধদেব সাউকে উপাচার্য পদ থেকে সরিয়ে দেন আচার্য। তার পরেও রাজ্য সরকারের অনুমতিকে গুরুত্ব দিয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান করেন বুদ্ধদেব। আর এ বার রাজ্যপালের চিঠি ঘিরে তৈরি হয়েছে নয়া জটিলতা।

Advertisement
আরও পড়ুন