Naushad Siddiqui

ভাঙড়ে যাওয়ার পথে নওশাদকে আটকে দিল পুলিশ, সকাল ১০টা থেকে গাড়িতেই বসে বিধায়ক

পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। শুক্রবার নিজের বিধানসভা এলাকায় যেতে পুলিশি বাধার মুখে পড়লেন নওশাদ সিদ্দিকি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ভাঙড়  শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৩ ১০:৩৭
photo of Naushad Siddiqui

আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। —ফাইল চিত্র।

ভোট-হিংসায় উত্তপ্ত ভাঙড়ে যেতে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে বাধা দেওয়া হল শুক্রবার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় যাওয়ার পথে নিউটাউনের হাতিশালার কাছে নওশাদের পথ আটকায় কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার সকাল ১০টায় নওশাদের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। সেই থেকে সেখানে গাড়িতে বসে রয়েছেন নওশাদ। ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তাই ওই এলাকায় নওশাদকে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। এলাকার বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও কেন ভাঙড়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না, এই নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নওশাদ।

Advertisement

পুলিশ আধিকারিককে নওশাদ বলেন, ‘‘আমি ভাঙড়ের জনপ্রতিনিধি। আমার পরিচয়পত্র রয়েছে। তা হলে কেন যেতে পারব না?’’ পাল্টা পুলিশের আধিকারিক বলেন, ‘‘১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই সেখানে যাওয়ার তাঁর অনুমতি নেই।’’ এই নিয়ে পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে নওশাদের কথোপকথন চলে। সেই সময়ই সংবাদমাধ্যমে নওশাদ বলেন, ‘‘তৃণমূলের নেতারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অথচ আমি বিধায়ক, আর আমায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এ ভাবে আমায় আটকে রাখা যাবে না।’’ এর পরেই তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘কত ক্ষণ আটকে রাখে দেখি।’’ নওশাদ আরও বলেন, ‘‘আমি শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছি। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পুরো ভাঙড়ে তল্লাশি চালানো হোক। নির্বাচন কমিশন সক্রিয় থাকলে এত মৃত্যু দেখতে হত না। মৃতদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতাম। মানুষকে বলব, কারও প্ররোচনায় পা দেবেন না।’’

photo of Naushad Siddiqui

ভাঙড় যাওয়ার পথে নওশাদকে বাধা। গাড়িতে বসে বিধায়ক। —নিজস্ব চিত্র।

নওশাদের পাল্টা ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, ‘‘১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। আমরা কেউ ঢুকতে পারছি না। আবার উস্কানি দেওয়ার জন্য যাচ্ছেন উনি (নওশাদ)? আবার খুনোখুনি চাইছেন? উনি আবার যেতে চাইছেন উস্কানি দিতে। মায়ের কোল খালি করার চেষ্টা করছেন।’’

পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে বার বার সংঘর্ষ, বোমাবাজিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভাঙড়ে। গত মঙ্গলবার গণনার দিনও প্রাণহানি হয়েছে সেখানে। কাঁঠালিয়ায় গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। তাঁদের মধ্যে দু’জন ছিলেন আইএসএফ কর্মী। এক জন গ্রামবাসী বলে দাবি। আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন। গণনার দিনের পর বৃহস্পতিবারও অশান্তি ছড়ায় ভাঙড়ে। বৃহস্পতিবার চালতাবেড়িয়ায় আইএসএফের ঘাঁটিতেই দিনে দুপুরে বোমা ফেটে জখম হন আইএসএফের চার সমর্থক। এই আবহে শুক্রবার ভাঙড় যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়লেন নওশাদ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement