হাওড়ায় বিজেপি নেত্রীর বাড়ি থেকে গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় পামেলা গোস্বামীর নাম টেনে আনল তৃণমূল। —ফাইল চিত্র।
হাওড়ায় বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল গাঁজা। সাঁকরাইলের কান্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা রূপা রায়ের নবঘরা সর্দার পাড়ার বাড়িতে শনিবার হাওড়া সিটি পুলিশ হানা দেয়। সেই তল্লাশি অভিযানে মোট ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। রূপার স্বামী নিমাই রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না শাসকদল তৃণমূল। দলের মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন টেনে আনলেন সেই পামেলা গোস্বামীর প্রসঙ্গও। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপিও।
হাওড়া পুলিশ সূত্রে খবর, নিমাইয়ের পাশাপাশি তাঁর দুই ‘সাগরেদ’ সত্যদেও সাহানি এবং আনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, দু’জনেই ক্যারিয়ার (মাদক বাহক) হিসাবে কাজ করতেন। তদন্তকারীদের দাবি, ওড়িশা থেকে ছোট ছোট লরিতে সাঁকরাইলের বাড়িতে গাঁজা নিয়ে আসতেন নিমাই। সেখান থেকে কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় গাঁজা পৌঁছে দেওয়া হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে মাদক বিরোধী আইনে মামলা শুরু করেছে পুলিশ। রবিবার ধৃতদের হাওড়া আদালতে হাজির করানোর কথা তাঁদের।
এ নিয়ে শান্তনু এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘এই ঘটনা মনে করিয়ে দিল মাদক পাচারকারী পামেলার সঙ্গে বিজেপি নেতাদের যোগ।’’ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও সেই পোস্টে ট্যাগ করেছেন শান্তনু। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের এ নিয়ে বক্তব্য জানতে চেয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র। পাল্টা বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘যত গাঁজার মামলা দেওয়া হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে, তা যোগ করলে দেখা যাবে ভারতবর্ষ কেন, পার্শ্ববর্তী দুটো দেশেও অত গাঁজার চাষ হয় না। উনি (রূপা রায়) বিজেপির নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। পরিকল্পিত ভাবে কালিমালিপ্ত করার জন্য এটা ঘটানো হয়েছে।’’
গত বিধানসভা ভোটের আগে কলকাতার নিউ আলিপুর এলাকা থেকে ৭৬ গ্রাম মাদক-সহ পামেলাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই সময় জানা গিয়েছে, পামেলা বিজেপির যুবনেত্রী ছিলেন। গ্রেফতার হয়েছিলেন পামেলার সঙ্গী সোমনাথ। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছিল বন্দর এলাকার বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহের নাম। তাঁকে বর্ধমানের গলসি থেকে পরে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে কলকাতা হাই কোর্ট পামেলার জামিন মঞ্জুর করেছিল।