হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মহড়া যাত্রা চলছে। ফাইল চিত্র।
এক দিনেই পুরী ঘুরে কলকাতায় ফেরা যাবে। সৌজন্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ইতিমধ্যেই হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত সেমি হাইস্পিড ট্রেনের মহড়া দৌড় শুরু হয়েছে। কিন্তু কবে শুরু হবে এই ট্রেন চলাচল? পুরীকে ঘিরে বাঙালির আবেগ চিরন্তন। দৈনন্দিন ব্যস্ততার ফাঁকে ফুরসত পেলেই বাঙালি যে ক’টি জায়গায় বাক্স-প্যাঁটরা গুছিয়ে বেড়াতে যান, তার মধ্যে অন্যতম ওড়িশার এই সৈকত শহর। তাই হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ঘিরে বাড়তি উৎসাহ তৈরি হয়েছে সকলের মধ্যে। সব ঠিক থাকলে চলতি মাসেই ছুটতে পারে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়িগামী প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেয়েছিল রাজ্য। এর পর মে মাসেই সম্ভবত দ্বিতীয় বন্দে ভারত পাচ্ছে বাংলা। প্রথম ট্রেনটির মতো দ্বিতীয় ট্রেনটিতেও একই ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে বলে রেল সূত্রে খবর।
গত ২৮ এপ্রিল সকালে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারতের প্রথম মহড়া যাত্রা শুরু হয়। সকাল ৬টা ১০ মিনিটে হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্স থেকে পুরীর উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেনটি। ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টায় পুরী পৌঁছয় এক্সপ্রেস। এর পর দুপুরেই পুরী থেকে রওনা দিয়ে রাত ৮টার মধ্যেই হাওড়া পৌঁছয় বন্দে ভারত। অর্থাৎ একই দিনে পুরী গিয়ে ঘুরে আসা যাবে। বন্দে ভারতে করে পুরী গেলে সময় অনেকটাই কম লাগবে। মাত্র সাড়ে ৬ ঘণ্টাতেই হাওড়া থেকে পুরী পৌঁছনো যাবে।
এখন পুরী যাওয়ার জন্য হাওড়া এবং শিয়ালদহ স্টেশন থেকে যে সমস্ত দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল করে, সেখানে সময় লাগে প্রায় ৮ ঘণ্টা। বন্দে ভারতে করে গেলে অনেকটাই সময় বাঁচবে বলে মনে করছেন যাত্রীরা।
হাওড়া-পুরী শাখায় বন্দে ভারতের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৭৭ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ হবে ঘণ্টায় ১৩০ কিমি। হাওড়া থেকে ছাড়ার পর পুরীগামী বন্দে ভারতের প্রথম স্টেশন হবে খড়্গপুর। তার পর বালাসোর, ভদ্রক, কটক, ভুবনেশ্বর এবং খুরদায় দাঁড়াবে এই ট্রেনটি।
বাংলার দ্বিতীয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনাও করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রেল সূত্রে খবর, মহড়া যাত্রা শেষ হলেই এই মাসেই সম্ভবত ট্রেন চালু করা হবে। তবে ঠিক কোন দিন এই ট্রেন চালু করা হবে, তা এখনও জানা যায়নি।