Santragachi Jheel

সাঁতরাগাছি ঝিলের বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্প কত দূর, হলফনামা চায় কোর্ট

দীর্ঘ দিন ধরেই সাঁতরাগাছি ঝিলের চার দিকের অসংখ্য নর্দমা দিয়ে বর্জ্য জল ওই ঝিলে পড়ছে। সেই দূষণ নিয়েই ২০১৬ সালে পরিবেশ আদালতে মামলা করেন সুভাষ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪ ০৫:৩৭

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সাঁতরাগাছি ঝিলের দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য সুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (এসটিপি) বা বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্প তৈরি করতে ২০১৬ সালে নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। কিন্তু আট বছরেও তা তৈরি হয়নি। এত বছরেও কেন এসটিপি তৈরি করা গেল না, তা জানতে চেয়ে এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল পরিবেশ আদালত। পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

দীর্ঘ দিন ধরেই সাঁতরাগাছি ঝিলের চার দিকের অসংখ্য নর্দমা দিয়ে বর্জ্য জল ওই ঝিলে পড়ছে। সেই দূষণ নিয়েই ২০১৬ সালে পরিবেশ আদালতে মামলা করেন সুভাষ। যার পরিপ্রেক্ষিতে পরের বছর পরিবেশ আদালত সাঁতরাগাছি ঝিলের পাশে একটি বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্প তৈরির নির্দেশ দেয়। অনেক টালবাহানার পরে ঠিক হয়, রেল ওই প্লান্ট তৈরির জন্য জায়গা দেবে এবং ঝিলের চার দিকে নর্দমার একটি মালা তৈরি হবে, যেখানে ওই সমস্ত বর্জ্য পড়বে এবং তা শোধনাগারে যাবে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, মোট খরচের ৮২ ভাগ দেবে রাজ্য আর ১৮ ভাগ দেবে রেল (ঠিক যে অনুপাতে হাওড়া পুরসভা ও রেল ঝিলের দূষণ ঘটাচ্ছে)।

সব কিছু ঠিকঠাক হয়ে যাওয়ার পরেও অবশ্য এত বছরেও কাজ শুরু হয়নি। রেল হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, তারা এই কাজের জন্য রাজ্য সরকারকে অনুমতি দিয়েছে এবং তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করতে বলেছে। কিন্তু ঝিল সংলগ্ন জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করতে না পারায় ঝিলের চার দিকে নর্দমার মালা তৈরির প্রকল্প আর এগোয়নি। রেলের অভিযোগ, জবরদখলকারীদের তোলার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পুলিশি সহায়তা দেওয়ার কথা। কিন্তু বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তা মেলেনি।

সুভাষ জানান, সম্প্রতি পরিবেশ আদালত এই ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশ করে তা আদেশনামায় লিপিবদ্ধ করেছে এবং সেই সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছে। পাশাপাশি, এত দিন পর্যন্ত কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা আদালতে হলফনামার মাধ্যমে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement