Bengaluru Cafe Incident Arrest

হাওড়ার দিঘা বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষমান যুবকই কি ক্যাফেকাণ্ডে অভিযুক্ত জঙ্গি? সন্দেহ তেমনই

পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কয়েক দিন ধরেই দিঘা বাসস্ট্যান্ডে পুলিশের আনাগোনা লেগে ছিল। এ বিষয়ে এনআইএ-কে লালবাজারের পাশাপাশি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল হাওড়া সিটি পুলিশও।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
হাওড়া শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:২৩
ধৃত মুসাভির হুসেন সাজিব এবং আবদুল মাথিন তাহা।

ধৃত মুসাভির হুসেন সাজিব এবং আবদুল মাথিন তাহা। — ফাইল চিত্র।

রাজ্য পুলিশের সহায়তা নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘার কাছ থেকে বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণকাণ্ডের মূলপাণ্ডা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। সেই সূত্রেই জানা গিয়েছে, নাম ভাঁড়িয়ে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় হোটেল বা লজে থেকেছিলেন ধৃত মুসাভির হুসেন সাজিব এবং আবদুল মাথিন ত্বহা। চাঁদনি চকের মোবাইল মেরামতির দোকানেও ঢুঁ মেরেছিলেন ধৃত এক জঙ্গি। এ বার হাওড়ার দিঘা বাসস্ট্যান্ডের সিসিটিভি ফুটেজ এল প্রকাশ্যে। সেই ফুটেজে গত ২৮ মার্চ দেখা গিয়েছে একটি অবয়ব। যা ধৃত এক জঙ্গির বলেই অনুমান।সিসি

Advertisement
সিসিটিভি ফুটেজের এই অংশে কি দেখা যাচ্ছে বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্তকে?

সিসিটিভি ফুটেজের এই অংশে কি দেখা যাচ্ছে বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্তকে? — ছবি: সংগৃহীত।

তদন্তে জানা গিয়েছে, কলকাতায় বেশ কিছু দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর মুসাভির এবং আবদুল দিঘা গিয়েছিলেন। তা হলে কি সেই ফুটেজই সিসিটিভি-বন্দি হয়েছে? এনআইএ এখনও হাওড়ার বাসস্ট্যান্ডে লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ে কিছু বলেনি। যদিও অনেকেরই সন্দেহ, বাসস্ট্যান্ডে লাগানো সিসি ক্যামেরায় যাঁর অবয়ব ধরা পড়েছে, মাথায় ক্যাপ এবং টি-শার্ট পরিহিত সেই ব্যক্তিই ধৃতদের অন্যতম।

গত ২৮ মার্চ সকাল ১১টা নাগাদ হাওড়ার দিঘা বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছিল বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণকাণ্ডের অভিযুক্ত দুই জঙ্গিকে। আর পাঁচ জন যাত্রীর মতোই বাসের টিকিট কেটে তাঁরা যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে অপেক্ষা করছিলেন। তখনই সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েন তাঁরা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এখান থেকেই বাসে করে দিঘার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন মুসাভির এবং আবদুল। বাসস্ট্যান্ডের কর্মী রাজু সরকার জানান, তাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। কিন্তু তিন দিন আগে লালবাজার থেকে পুলিশ আসে, এনআইএ অফিসারেরাও ছিলেন। তখনই জানা যায়, জঙ্গিরা এখানে এসেছিলেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কয়েক দিন ধরেই শহরের দিঘা বাসস্ট্যান্ডে পুলিশের আনাগোনা লেগে ছিল। এ বিষয়ে এনআইএ-কে লালবাজারের পাশাপাশি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারাও। বার বার গোটা এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ এবং এনআইএ। পাশাপাশি, দিঘা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে একাধিক বাসকর্মীর সঙ্গেও কথা বলেন গোয়েন্দারা। সংগ্রহ করেন তথ্য। বস্তুত, ক্যালেন্ডার মিলিয়ে দেখলে, তার পরেই চূড়ান্ত অভিযানে নামেন গোয়েন্দারা। দিঘার অনতিদূরে হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় রামেশ্বরম ক্যাফেতে আইইডি বিস্ফোরণের মূলচক্রী-সহ দু’জনকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement