TMC

বৈঠকে মাথা ফাটল মহিলা সভাপতির, মার খেয়ে কান্না খানাকুল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের! কোন্দল তৃণমূলে

খানাকুল-১ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল। তাখন থেকেই পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নইমুল হক গোষ্ঠীর সঙ্গে তৃণমুল সভাপতি দীপেন মাইতি গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
খানাকুল শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৪ ১৬:০৬
tMC CLASH

পঞ্চায়েত সমিতির অফিসের সামনে উত্তেজনা। —নিজস্ব চিত্র।

তৃণমুলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে উত্তেজনা হুগলির খানাকুল-১ পঞ্চায়েত সমিতিতে। পঞ্চায়েত সমিতির মহিলা সভাপতির মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দলেরই কয়েক জনের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত সমিতির বেশ কয়েক জন সদস্যকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। সোমবার তৃণমুলের দুই পক্ষের জমায়েত থেকে উত্তেজনা ছড়ায় পঞ্চায়েত সমিতি অফিসের বাইরে। জমায়েত এড়াতে লাঠি উঁচিয়ে পুলিশকে তাড়া করতে দেখা যায়।

Advertisement

খানাকুল-১ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল। তার পর থেকেই পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নইমুল হক ওরফে রাঙা গোষ্ঠীর সঙ্গে খানাকুল-১ ব্লকের তৃণমুল সভাপতি দীপেন মাইতি গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর আগে দীপেনের অনুগামীদের মধ্যে বেশ কয়েক জন কর্মাধ্যক্ষ এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মাইতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়।

পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি টিকিয়ে রেখে একাধিপত্য ধরে রাখতে মরিয়া নইমুল ওরফে রাঙা গোষ্ঠী। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে খানাকুল-১ পঞ্চায়েত সমিতির একটি বৈঠক ডাকা হয়। তখনই উত্তেজনা ছড়ায়। সংঘর্ষে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পার মাথা ফাটে। পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়ের বাইরে দুই গোষ্ঠীর কয়েকশো লোক জমায়েত হন। স্লোগান, পাল্টা স্লোগান শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে বেগ পেতে হয় পুলিশকে।

রাঙা গোষ্ঠীর হাতে আক্রান্ত হয়ে বৈঠকস্থল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাপস ঘোষ নামে এক পঞ্চায়েত সদস্য জানান, তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। পরনের পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ম্যাডামের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় মেরে। আমাকেও মারধর করা হয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘১৫ বছর ধরে করে খাচ্ছে। তোলা তুলছে ওরা।’’

গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃশানু রায়, আরামবাগ এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী, আরামবাগ থানার আইসি রাকেশ সিংহ। গন্ডগোল নিয়ে তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রামেন্দু সিংহরায়কে ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। চেয়ারম্যান স্বপন নন্দীও এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। অন্য দিকে, বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘খানাকুলে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন নয়। ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে ওদের গন্ডগোল। আগামী নির্বাচনে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement