Durga Puja 2024

বন্যাবিধ্বস্ত ঘাটালে দুর্গার ‘আগমন’ নৌকায়, মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা নিয়ে যেতে ভরসা জলপথই

পুজোর আগেই বানভাসি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হুগলিরও অনেক অঞ্চল। বন্যার জল খানিক কমলেও এখনও জলমগ্ন রাস্তাঘাট।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৪৬
Ghatal

সাঁকো ভাঙা, অগত্যা জলপথে দুর্গাপ্রতিমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মণ্ডপে। —নিজস্ব চিত্র।

তৃতীয়ার দিন লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশকে নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হুগলির বিভিন্ন মণ্ডপে ‘প্রবেশ’ করছেন দেবী দুর্গা। তবে বন্যাবিধ্বস্ত ঘাটালে ওই অঞ্চলে দোলা বা পালকি নয়, দেবীর ‘আগমন’ হল নৌকায়।

Advertisement

পুজোর আগেই বানভাসি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হুগলিরও অনেক অঞ্চল। বন্যার জল খানিক কমলেও এখনও জলমগ্ন রাস্তাঘাট। বস্তুত, অনেক রাস্তাই এখন ‘জলপথ’ হয়ে রয়েছে। তাই নদীপথেই মণ্ডপে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দুর্গাকে। রবিবার একই ছবি দেখা গেল বানভাসি হুগলিতেও। ঘাটালে বন্যার সময়ে বেশ কয়েকটি বাঁশের সাঁকো ভেঙেছে। এখনও মানুষের যাতায়াতের মূল ভরসা নৌকা। সেই নৌকায় চড়েই ছেলেমেয়েদের নিয়ে মণ্ডপের পথে দুর্গা। হুগলির বন্দর‌ কুঠিবাজার ‌সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির প্রতিমা ঘাটাল পুর এলাকার নিশ্চিন্দিপুর থেকে নৌকায় চাপিয়ে শিলাবতী নদী দিয়ে যাওয়া হল প্যান্ডেলে। একই ভাবে ঘাটালের বেশ কিছু প্যান্ডেলে নৌকা করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রতিমা। সমীর সাউ নামে কুঠিবাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘‘এ বার ভয়াবহ পরিস্থিতি। কোনও উপায় না দেখে ঘাটাল থেকে বন্দর কুঠিবাজার বাসস্ট্যান্ডে পর্যন্ত নৌকায় করে প্রতিমা নিয়ে যাচ্ছি।’’

দুর্গার আগমন ও প্রস্থানের বাহন ও তার ফলাফল নিয়ে বাঙালি সমাজে বহু কথা প্রচলিত। দেবীর নিজস্ব বাহন থাকলেও আগমন এবং প্রস্থানের বাহনের কথা আলাদা করে পঞ্জিকায় উল্লেখ থাকে। বার অনুযায়ী বাহনের নির্ধারণ হয়। এ বার সপ্তমী পড়েছে বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর। তাই দুর্গার আগমন দোলা বা পালকিতে। বানভাসি ঘাটালের লোকজন অবশ্য মজা করে বলছেন, তাঁদের এলাকায় এ বার দেবীর আগমন এবং প্রস্থান নৌকাতেই হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement