Pandua

বন্ধুদের সঙ্গে উল্টোরথের মেলা দেখতে গিয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রের রহস্যমৃত্যু! খুনের অভিযোগ পরিবারের

পান্ডুয়ার খন্যান পণ্ডিত পাড়ায় বাড়ি অর্পণ পণ্ডিতের। ইটাচুনা শ্রীনারায়ণ ইনস্টিটিউশনের নবম শ্রেণির ছাত্র অর্পণ মঙ্গলবার বিকেলে উল্টোরথ দেখতে বন্ধুদের সঙ্গে মগরার হোয়েরায় গিয়েছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
পান্ডুয়া শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৪ ১৫:৩০
boy dead

—প্রতীকী চিত্র।

রথের মেলা দেখতে বেরিয়ে রহস্যমৃত্যু এক স্কুলছাত্রের। হুগলির পান্ডুয়ার ঘটনা। পরিবারের অভিযোগ খুন করা হয়েছে ওই পড়ুয়াকে। যদিও প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বালকের।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, পান্ডুয়ার খন্যান পণ্ডিত পাড়ায় বাড়ি অর্পণ পণ্ডিতের। ইটাচুনা শ্রীনারায়ণ ইনস্টিটিউশনের নবম শ্রেণির ছাত্র অর্পণ মঙ্গলবার বিকেলে উল্টোরথ দেখতে বন্ধুদের সঙ্গে মগরার হোয়েরায় গিয়েছিল। রাত হয়ে গেলেও ছেলে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন অর্পণের বাবা ধনঞ্জয় পণ্ডিত। খন্যান চৌমাথায় গিয়ে অর্পণের তিন বন্ধুকে অটো করে বাড়ি ফিরতে দেখে তাদের কাছে অর্পণের খোঁজ করেন ধনঞ্জয়। কিন্তু তিন পড়ুয়া কিচ্ছু বলতে পারেনি। তখন তাদের নিয়েই অর্পণের বাবা মগরা থানায় যান। থানায় গিয়ে ধনঞ্জয় জানতে পারেন এক কিশোরকে পুলিশ আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মগরা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে।

বিবরণ শুনে থানা থেকে হাসপাতালে দৌড়ন ধনঞ্জয়। সেখানে গিয়ে ছেলেকে দেখতে পান বাবা। কিন্তু অর্পণের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় মগরা থেকে তাকে নিয়ে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে যান ধনঞ্জয়। চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ১৫ বছরের ছেলেটির। ধনঞ্জয়ের অভিযোগ, ‘‘ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার জন্য ওর বন্ধুরাই দায়ী।’’ মৃত ছাত্রের দিদি পূজা বলেন, ‘‘আমার ভাই প্রতিবন্ধী। তাকে বাইরে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা দোষীদের শাস্তি চাই।’’

অভিযোগের ভিত্তিতে মৃত ছাত্রের তিন বন্ধুকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসবাদ করে পুলিশ। তাদের প্রাথমিক অনুমান, বাইক চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ছাত্রের। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘মৃতের পরিবার লিখিত অভিযোগ করলে সব দিক খতিয়ে দেখা হবে। দেহ ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement