Jagadhatri Puja 2024

আলোয় ভাসছে চন্দননগর, অষ্টমী-সন্ধ্যায় জনতার স্রোত একের পর এক বারোয়ারির উদ্দেশে

তিথি অনুযায়ী শনিবার জগদ্ধাত্রী পুজোর অষ্টমী। বিকেল গড়াতেই চন্দননগর আর মানকুন্ডু স্টেশনের রাস্তায় দর্শনার্থীদের ঢল। একই রকম ভিড় গঙ্গার ফেরিঘাটগুলিতে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
চন্দননগর শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৪৮
Many people gather in Chandannagar for pandel hoping in Jagadhatri Puja

নানা রঙের আলোর খেলা দেখতে মন্ডপে ভিড় জমিয়েছেন দর্শনার্থীরা। —নিজস্ব চিত্র।

ষষ্ঠীতে উদ্বোধনের পর থেকেই চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে সাধারণ মানুষ ভিড় করছেন। মণ্ডপে মণ্ডপে লম্বা লাইন। চারপাশে নানা রঙের আলোর খেলা। বিভিন্ন বারোয়ারি তাদের মণ্ডপের থিম অনুযায়ী আলোর ব্যবস্থা করেছে। আর সেই রূপ দেখতেই দূরদূরান্ত থেকে আসছেন মানুষ। শনিবার, অষ্টমীতে সেই ভিড় জনস্রোতে পরিণত হয়েছে।

Advertisement

তিথি অনুযায়ী শনিবার জগদ্ধাত্রী পুজোর অষ্টমী। বিকেল গড়াতেই চন্দননগর আর মানকুন্ডু স্টেশনের রাস্তায় দর্শনার্থীদের ঢল। একই রকমের ভিড় গঙ্গাপারের ফেরিঘাটগুলিতেও। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রবিবার (নবমী) অনুষ্ঠিত হবে জগদ্ধাত্রী পুজো। কিন্তু চন্দননগরে চার দিন ধরেই চলে উৎসব।

অষ্টমীতে জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে গড়িয়া থেকে সপরিবারে চন্দননগর এসেছেন বাদল মুখোপাধ্যায়। এত আলো দেখে অভিভূত তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘কলকাতায় দুর্গাপুজো দেখি। কিন্তু জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে এই প্রথম চন্দননগর এলাম। অসাধারণ পরিবেশ আর ঝলমলে আলো দেখে খুব ভাল লাগল।’’

কাটোয়ার বাসিন্দা অমল চক্রবর্তী বন্ধুদের সঙ্গে চন্দননগরে এসেছেন। একের পর এক মণ্ডপ ঘুরে ঘুরে দেখছেন তাঁরা। প্রতি বছরই আসেন সময় বার করে। এ বারও এসেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতি বার আলাদা করে রোমাঞ্চিত হই। কাটোয়ায় কার্তিকের লড়াই দেখি আমরা। কিন্তু চন্দননগরে জগদ্ধাত্রীর ব্যাপারই আলাদা।’’

আলোর শহর চন্দননগরে ‘হৈমন্তীকা’র টানে আসেন বহু মানুষ। বারোয়ারিগুলির মতে, জগদ্ধাত্রী পুজোয় আলোর দর্শন হয় দু’ভাবে। প্রথমত, মণ্ডপ ও প্রতিমা দেখতে বেরিয়ে পথে আলোকসজ্জা দেখা যায়। চন্দননগরের কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি আলোর গেটের জন্য পুরস্কারের আয়োজন করে। আর সেই পুরস্কার পেতে রাস্তার উপর গেট তৈরির প্রতিযোগিতায় নামে বারোয়ারিগুলি। দ্বিতীয়ত, দশমীকে প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রায় থাকে আলোর রোশনাই। মণ্ডপের থেকে একেবারেই আলাদা হয় শোভাযাত্রার আলোকসজ্জা।

অনেকের মতে, বারোয়ারিগুলো ‌একে অপরকে টেক্কা দিতে শোভাযাত্রাকেই ‘তুরুপের তাস’ হিসাবে ব্যবহার করে। শোভাযাত্রার জন্য আলাদা করে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করে বারোয়ারিগুলি। অষ্টমী থেকেই সেই প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। পুজোর শেষ দিনের শোভাযাত্রাকে স্মরণীয় করতে কোনও খামতি রাখতে নারাজ বারোয়ারিরা। কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির নিয়ন্ত্রণে চন্দননগর-ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে মোট ১৭৭ টি জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। তাদের মধ্যে ৬৯টি পুজো শোভাযাত্রায় অংশ নেবে এ বার।

আরও পড়ুন
Advertisement