Arambagh Master Plan

অরোর খালের শেষ প্রান্তের সংস্কার শুরু

সেচ দফতর এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ মহকুমার সব জমা জল বিভিন্ন খাল বেয়ে দক্ষিণে মহকুমার শেষ প্রান্ত খানাকুলের অরোরো খাল হয়ে রূপনারায়ণে পড়ে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:২৬
চলছে সংস্কার কাজ।

চলছে সংস্কার কাজ। নিজস্ব চিত্র।

অবশেষে ‘আরামবাগ মাস্টার প্ল্যান’-এর দ্বিতীয় পর্যায়ে অরোরা খালের শেষ প্রান্তের ১২ কিমি সংস্কারের কাজ শুরু হল। মহকুমার বন্যা মোকাবিলার লক্ষ্যে এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে কাজটি ধরা না থাকায় বিস্তর ক্ষোভ-বিক্ষোভ ছিল খানাকুলের দু’টি ব্লকে। প্রকল্পের সুফল মেলার বদলে এলাকা বেশি প্লাবিত হচ্ছে, এই অভিযোগে সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনও হয়।

Advertisement

এই সংস্কার কাজে প্রায় ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে জানিয়ে সেচ দফতরের জেলা এগ্‌জ়িকিটিভ ইঞ্জিনিয়ার দেবেন্দ্র কুমার সিংহ বলেন, “খালের শেষ ১২ কিলোমিটার অংশে আমূল সংস্কার হবে। তার মধ্যে দু’টি সেতুও থাকছে। প্রথম দফার কাজের সুফল পেতে এই কাজটি অত্যন্ত জরুরি।”

সেচ দফতর এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ মহকুমার সব জমা জল বিভিন্ন খাল বেয়ে দক্ষিণে মহকুমার শেষ প্রান্ত খানাকুলের অরোরো খাল হয়ে রূপনারায়ণে পড়ে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে শুরু হওয়া প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে আরামবাগের কানা দ্বারকেশ্বর, কানা মুণ্ডেশ্বরী, মলয়পুর খাল, ভোমরা খাল, কাটা খাল ইত্যাদি সংস্কার হয়। কিন্তু যে অরোরা খাল (১৬ কিলোমিটার) শেষ পর্যন্ত সব জল বয়ে রূপনারায়ণে ফেলে, তার গোড়ার ৪ কিলোমিটার প্রকল্পের আওতায় এসেছিল। শেষ ১২ কিলোমিটার মজা ও সঙ্কীর্ণ থাকায় জল খাল উপচে খানাকুলের দু’টি ব্লকের ২৪টি পঞ্চায়েতকে আরও বিধ্বস্ত করেছে। পুরো মহকুমা থেকেই জল নিকাশি হতে বিলম্ব হয়েছে।

খাল সংস্কার শুরু হওয়ায় খুশি আন্দোলকারী এবং এলাকার মানুষ। ঘোড়াদহের সুকুমার বেড়া, ঘোষপুরের হায়দার আলি, জগৎপুরের সঞ্জিত মালিক প্রমুখ মনে করেন, ভৌগোলিক কারণে খানাকুলের দু’টি ব্লকে বন্যা হয় তো রোখা যাবে না, কিন্তু খালটির আমূল সংস্কারে ভোগান্তি অনেকটাই কমাবে।

Advertisement
আরও পড়ুন