Factory Fire

হাওড়ার ঘিঞ্জি এলাকায় গজিয়ে ওঠা কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, বেশ কিছু ক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে

বেশ কিছু ক্ষণের চেষ্টায় কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকলকর্মীরা। তবে কাজ শুরু করতেই অনেকটা সময় লেগে যায় দমকলের। রাস্তা সরু হওয়ায় তার মধ্যে দিয়ে ঢুকতে সমস্যায় পড়তে হয় দমকলকে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
হাওড়া শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:০১
কারখানায় আগুন নেভানোর কাজ করছেন দমকলকর্মীরা।

কারখানায় আগুন নেভানোর কাজ করছেন দমকলকর্মীরা। — নিজস্ব চিত্র।

হাওড়ার ব্যাটরায় একটি কারখানায় আগুন। ঘনবসতিপূর্ণ ওই এলাকায় আগুন লাগার খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে এসে কাজ করতে সমস্যার মধ্যে পড়েন দমকলকর্মীরা। রাস্তা ছোট হওয়ায় আগুন লাগার উৎসে পৌঁছতে বেগ পেতে হয় দমকলকে।

Advertisement

বুধবার সকালে ব্যাটরার বৃন্দাবন মল্লিক লেনে একটি ‘হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয়রা। কিছু ক্ষণের মধ্যেই ধোঁয়া ক্রমশ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। সেই সঙ্গে পৌঁছয় পুলিশও। বেশ কিছু ক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকলকর্মীরা। তবে কাজ শুরু করতেই অনেকটা সময় লেগে যায়। রাস্তা সরু হওয়ায় তার মধ্যে দিয়ে ঢুকতে সমস্যায় পড়তে হয় দমকলকে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই কারখানার কারণে লাগোয়া বাড়ির বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে থাকেন। অসিত মাল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে এ ভাবে কারখানা চলা নিয়ে তাঁরা অনেক বার আপত্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু অসিতের দাবি, তাঁদের আপত্তিকে কোনও দিন আমল দেননি কারখানার মালিক বা বাড়িওয়ালা। স্থানীয়রা প্রশ্ন তোলেন, এই কারখানার জন্য প্রয়োজনীয় নথি আদৌ কারখানার মালিকের কাছে আছে কি না। একই কথার প্রতিধ্বনি দমকল কর্তাদের মুখেও।

হাওড়া দমকল বিভাগের ওসি সোমনাথ প্রামাণিক বলেন, ‘‘সরু রাস্তা হওয়ার কারণে সেখানে দমকলের গাড়িকে পৌঁছতে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। দু’টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ওই কারখানার জন্য দমকল বিভাগের কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। কেবলমাত্র ট্রেড লাইসেন্সের ওপরে চলছিল কারখানাটি।’’ যদিও কারখানার মালিক বা বাড়িওয়ালা কেউই এ বিষয়ে কোনও বক্তব্য করতে চাননি। অগ্নিকাণ্ডের জেরে হতাহতের খবর না থাকলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও খতিয়ে দেখে উঠতে পারেনি দমকল।

আরও পড়ুন
Advertisement