চলছে নাকা চেকিং। —নিজস্ব চিত্র।
অপরাধ ঠেকাতে চন্দননগর কমিশনারেট এলাকা জুড়েই হঠাৎ করে নাকা তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। দুষ্কৃতীদের বাগে আনতেই এমন পদক্ষেপ বলে দাবি করেছে চন্দননগর কমিশনারেট। এতে হাতেনাতে ফলও মিলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশকর্তারা।
পুলিশ সূত্রে খবর, দিন দশেক ধরে চন্দননগর কমিশনারেটের সাতটি থানা এলাকায় হঠাৎ করেই নাকা চেকিং শুরু করে পুলিশ। কমিশনারেটে ঢোকা এবং বেরনোর সব রাস্তা ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গা-সহ মোট ৫৬টি পয়েন্টে নাকা করা হয়। দিন-রাতের যে কোনও সময় এই নাকা হতে পারে বলে জানিয়েছেন পুলিশকর্তারা। চন্দননগর ডেপুটি কমিশনার বিদিত রাজ বুন্দেশ বলেন, “আগে থেকে কোনও থানাকে জানানো হয় না কোথায় নাকা করতে হবে। নাকা করার কিছুক্ষণ আগে তা জানানো হয়। তার পরেই একসঙ্গে সমস্ত জায়গায় শুরু হয় তল্লাশি। রাস্তায় যাতায়াত করা সব ধরনের গাড়িকে থামিয়ে তল্লাশিতে ফলও মিলছে হাতেনাতে।” বিদিত জানিয়েছেন, চুঁচুড়া থানা এলাকায় রাতের নাকায় বেশ কিছু মাদক আটক হয়েছে। প্রচুর বেআইনি মদও ধরা পড়ছে।
আচমকা নাকা তল্লাশিতে দুষ্কৃতীদের অবাধ বিচরণও আটকানো যাচ্ছে বলে দাবি পুলিশের। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষের মস্তিষ্কপ্রসূত এই আচমকা নাকা তল্লাশি চলাকালীন তিনি নিজেও কয়েক জায়গায় হাজির হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিদিত।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে ডানকুনিতে প্রায় ছ’কোটি টাকা অর্থমূল্যের রক্তচন্দন কাঠ ধরা পড়েছিল। একটি গাড়িতে আমের বস্তার আড়ালে তা পাচার করছিল দুষ্কৃতীরা। হঠাৎ করে নাকা তল্লাশিতে এ ধরনের বহু বেআইনি কাজ আটকানো যাবে বলে আশবাদী পুলিশকর্তারা।