ভাতারে প্রায় গোটা বাড়িটাই ভেঙে পড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
গভীর রাতে বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল গ্রামবাসীদের। কোনও কিছু বোঝার আগে পাড়াপ্রতিবেশীরা দেখেন, গ্রামের একটি বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। প্রায় গোটা বাড়িটাই ভেঙে পড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ওই বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন এক দম্পতি ও তাঁদের ছেলে। রক্তাক্ত তিন জনকে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধার করেন গ্রামবাসীরাই। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে এই ঘটনার তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ওই বাড়িতে বোমা মজুত রাখা ছিল। সেগুলির বিস্ফোরণে মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত ৩টে নাগাদ ভাতারের বাণেশ্বরপুর গ্রামের বাসিন্দারা প্রচণ্ড শব্দ শুনতে পান। তড়িঘড়ি বাড়ির বাইরে বেরিয়ে তাঁরা দেখেন, কোনও কিছুর বিস্ফোরণে গ্রামের বাসিন্দা জামরুল মল্লিকের বাড়ি প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ওই বাড়ির মালিক জামরুল, তাঁর স্ত্রী মাজেদা বিবি এবং তাঁদের ছেলে লালচাঁদ মল্লিককে আহত অবস্থায় টেনে বার করা হয়। জামরুলের প্রতিবেশীরাই তাঁদের তিন জনকে গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তিন জনের সামান্য চোট-আঘাত থাকলেও তা গুরুতর নয়।
এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের দাবি, ওই বাড়িতে বোমা মজুত করে রাখা ছিল। যদিও ওই পরিবারের লোকজনের পাল্টা দাবি, তাঁদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই বাড়িতে কোনও দিন সন্দেহজনক কিছু দেখেননি তাঁরা। তবে ঠিক কী কারণে বাড়িটি ভেঙে পড়ল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।