Howrah

রাস্তায় জমা হাঁটুজলে পড়ে গিয়ে হাওড়ার পুরকর্মীর মৃত্যু! তাঁতিপাড়ায় চাঞ্চল্য, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ

রাতভর বৃষ্টি হয়েছে হাওড়ায়। শুক্রবার সকাল থেকে জলমগ্ন হাওড়ার পঞ্চাননতলা রোড, বেলিলিয়াস রোড, রামচরণ শেঠ রোড, ড্রেনেজ ক্যানাল রোডের মতো শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৫৮
body

—প্রতীকী চিত্র।

প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন হাওড়ার তাঁতিপাড়া এলাকা। শুক্রবার দুপুরে হাঁটুসমান জল থেকে উদ্ধার করা হয় এক ব্যক্তির দেহ। ওই নিয়ে চাঞ্চল্য এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম গৌতম চট্টোপাধ্যায়। ৩৮ বছরের যুবক তাঁতিপাড়া এলাকারই বাসিন্দা। পুরসভার অস্থায়ী কর্মী ছিলেন তিনি।

Advertisement

স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, শুক্রবার কাজে বেরিয়েছিলেন গৌতম। দুপুরে কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। আচমকা রাস্তায় পড়ে যান তিনি। হাঁটুসমান জলে অনেক ক্ষণ পড়েছিলেন গৌতম। বেশ কয়েক জন তাঁকে উদ্ধার করেন। কিন্তু যুবক তখন মারা গিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, প্রায় আধ ঘণ্টা জমা জলে পড়েছিলেন গৌতম। তিনি কী ভাবে পড়ে গেলেন এবং অসুস্থ ছিলেন কি না, তা জানা যায়নি। কী ভাবে ওই অস্থায়ী পুরকর্মীর মৃত্যু হয়েছে, সেটাও এখনও অজানা। তবে রাস্তায় জল না থাকলে হয়তো গৌতমকে বাঁচানো যেত বলে মনে করছেন স্থানীয়েরা। হাওড়ার পুরপ্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগে জল জমেছে বিভিন্ন জায়গায়। জল নামানোর কাজ চলছে। তার মধ্যে এক জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। পুলিশ সেটা খতিয়ে দেখছে।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, দেহ উদ্ধারের পর তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিবারকে খবর পাঠানো হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’র প্রভাবে রাতভর বৃষ্টি হয়েছে হাওড়ায়। শুক্রবার সকাল থেকে লাগাতার বৃষ্টির ফলে হাওড়া শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। জল জমেছে পঞ্চাননতলা রোড, বেলিলিয়াস রোড, রামচরণ শেঠ রোড, ড্রেনেজ ক্যানাল রোডের মতো শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায়। কাজের জন্য বাইরে বেরিয়ে দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। তবে ঝড়বৃষ্টির জন্য রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা। যান চলাচলও কম।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের উপর নজরদারি করতে হাওড়া পুরসভার তরফে ‘কন্ট্রোল রুম’ চালু রয়েছে। জমা জল বা বৃষ্টির কারণে কোনও অসুবিধায় পড়লে ‘কন্ট্রোল রুম’-এ ফোন করে জানাচ্ছেন স্থানীয়েরা। সেই অনুযায়ী দায়িত্বে থাকা কর্মীরা সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হচ্ছেন। তবে হাওড়ার পুরপ্রশাসক জানাচ্ছেন, শহরের বিভিন্ন রাস্তা থেকে জমা জল নামানোর জন্য ৭০টি পাম্প চালানো হচ্ছে। টানা বৃষ্টি না-হলে রাতের মধ্যেই জল নেমে যাবে বলে আশাবাদী তিনি।

Advertisement
আরও পড়ুন