Siliguri Murder

স্ত্রী এবং ছ’বছরের ছেলের গলা কেটে খুন করে নিজের গলায় দড়ি! তিন জনের দেহ উদ্ধার শিলিগুড়িতে

বাড়ি থেকে উদ্ধার স্বামী-স্ত্রী এবং তাঁদের ছ’বছরের ছেলের দেহ। গলাকাটা অবস্থায় মেঝেতে পড়েছিল স্ত্রী এবং ছেলের দেহ। আর স্বামীর দেহ উদ্ধার হয় ঝুলন্ত অবস্থায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:৪১

—প্রতীকী চিত্র।

বাড়ি থেকে উদ্ধার স্বামী-স্ত্রী এবং তাঁদের ছ’বছরের ছেলের দেহ। গলাকাটা অবস্থায় মেঝেতে পড়েছিল স্ত্রী এবং ছেলের দেহ। আর স্বামীর দেহ উদ্ধার হয় ঝুলন্ত অবস্থায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়ির সমর নগর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনটি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে ভক্তিনগর থানার পুলিশ।

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, স্ত্রী-ছেলের গলা কেটে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী। কিন্তু কেন তিনি ওই সিদ্ধান্ত নিলেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পাড়া-পড়শি, আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, সমর নগর এলাকার বাড়িতে বছর দু’য়েক ধরে সপরিবার ভাড়া ছিলেন শ্যামল রায়। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। সংসারের হাল ধরতে চপ-ঘুগনির একটি দোকান চালাতেন স্ত্রী টুম্পা। পড়শিরা জানিয়েছেন, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভালই ছিল। কখনও সেই ভাবে দু’জনের ঝগড়া হত না। তার পরেও কেন স্ত্রী-ছেলেকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হলেন শ্যামল, তা ভেবে পাচ্ছেন না পড়শিরাও। তবে আত্মীয়স্বজনেরা জানিয়েছেন, প্রায় দু’লক্ষ টাকার মতো ঋণ ছিল শ্যামলের। তা নিয়ে তিনি খানিক সমস্যায় ছিলেন।

টুম্পার বাবা কালিপদ রায় বলেন, ‘‘প্রতি দিনের মতো সকালে মেয়েকে ফোন করি। কিন্তু কোনও উত্তর পাইনি। পরে খবর পেয়ে ছুটে এসে দেখি এই অবস্থা। কিছু টাকা ঋণ ছিল। সেই কারণেই এই ঘটনা কি না, তা বুঝতে পারছি না। গোটা পরিবারটা শেষ হয়ে গেল।’’

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অঞ্জন দত্ত বলেন, ‘‘সকালে খবর পেয়েই চলে এসেছি। পুলিশকে খবর দিই। কিন্তু কী কারণে এই ঘটনা, তা সত্যিই বোঝার উপায় নেই।’’

Advertisement
আরও পড়ুন