Khanakul

খানাকুল রক্ষায় মাস্টার প্ল্যানের দাবিতে সোসাইটি

জেলা সেচ দফতরের (বিশ্ব ব্যাঙ্ক প্রকল্প) এগ্‌জ়িকিটিভ ইঞ্জিনিয়ার জিশু দত্ত এ কথা মানেননি। সেতু তৈরির বিষয়ে এখনও তাদের কোনও পরিকল্পনা নেই বলে পূর্ত দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।

Advertisement
পীযূষ নন্দী
শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৫ ০৯:১০
জল-যন্ত্রণা। খানাকুলে।

জল-যন্ত্রণা। খানাকুলে। ফাইল চিত্র।

খানাকুলের দু’টি ব্লকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং সেতুর দাবি দীর্ঘ দিনের। এ জন্য ২০২২ সাল থেকে কয়েকটি ‘আন্দোলন কমিটি’ও তৈরি হয়। এ বার সব কমিটি এককাট্টা হয়ে ‘খানাকুল বাঁচাও সোসাইটি’ গঠন করে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিল।

Advertisement

গত ৮ মার্চ ওই সোসাইটি তৈরি হয়। তারপরে সোসাইটির তরফে খানাকুল ২ ব্লকের রাজহাটি রামমোহন ময়দান এবং পরে গড়েরঘাট সংলগ্ন রূপনারায়ণ নদের তীরে গণ-সমাবেশ এবং দাবির স্বপক্ষে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান চলে। সোসাইটির দাবি, দ্বারকেশ্বর নদ, মুণ্ডেশ্বরী নদী এবং রূপনারায়ণ নদে ঘেরা খানাকুলের দু’টি ব্লকের জন্য পৃথক ‘মাস্টার
প্ল্যান’-এর।

বিশ্বব্যাঙ্কের টাকায় যে সব জেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণের কাজ চলছে, তাতে হুগলিও রয়েছে। খানাকুলেও ওই কাজ চলছে। তবে, তাতে সন্তুষ্ট নয় সোসাইটি। রাজ্য সরকার ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’ রূপায়ণে অর্থ বরাদ্দ করলেও তাতে খানাকুলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বলেও তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সোসাইটির আহ্বায়ক অমিত আঢ্য বলেন, “স্বাধীনতার এতদিন পরেও খানাকুলের দু’টি ব্লকের ১৭৮টি গ্রামের মানুষের দাবি মেটেনি। বন্যা নিয়ন্ত্রণের সুপরিকল্পিত কোনও ভাবনাই নেই। রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের উদাসীনতা কাটাতেই দলমত নির্বিশেষে আমাদের এই সম্মিলিত আন্দোলন।”

জেলা সেচ দফতরের (বিশ্ব ব্যাঙ্ক প্রকল্প) এগ্‌জ়িকিটিভ ইঞ্জিনিয়ার জিশু দত্ত এ কথা মানেননি। সেতু তৈরির বিষয়ে এখনও তাদের কোনও পরিকল্পনা নেই বলে পূর্ত দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।

সোসাইটির অভিযোগ, ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে’ ঘাটালের দিক থেকে শিলাবতী নদীর সংস্কারের কথা বলা হলেও সেই নদী যেখানে মেশে, সেই খানাকুলের রূপনারায়ণ নদে কোনও সংস্কারের কাজ রাখা হয়নি। শিলাবতীর জল ছাড়াও আরামবাগ মহকুমার দ্বারকেশ্বর এবং মুণ্ডেশ্বরী নদীর জলও রূপনারায়ণে পড়ে।
কিন্তু রূপনারায়ণে ড্রেজ়িয়ের কথা ভাবা হয়নি।

সোসাইটির সদস্যদের দাবি, রূপনারায়ণের নাব্যতা কমেছে। ফলে, ওই নদ থেকে পলি তোলা না হলে খানাকুলের দু’টি ব্লক বন্যায় আরও বিধ্বস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। তাই রূপনারায়ণ নদকে কেন্দ্র করে ‘খানাকুল মাস্টার প্ল্যান’-এর দাবি তোলা হয়েছে বলে তাঁরা জানান।

এ ছাড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের সঙ্গে সহজে যোগাযোগের জন্য গড়েরঘাট বা বন্দরে রূপনারায়ণ নদের উপরে সেতুর দাবি নিয়েও সরব সোসাইটি। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, সেতু না থাকায় সারা বছর, বিশেষ করে বর্ষায় নদের দু’দিকের এলাকার ছাত্রছাত্রী, রোগী-সহ সকলকে নৌকায় পারাপারে প্রবল সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

Advertisement
আরও পড়ুন