মুরগোদাসের ‘সিকন্দর’কে বয়কটের ডাক। ছবি: সংগৃহীত।
‘সিকন্দর’ নিয়ে প্রত্যাশা ছিল সলমন অনুরাগীদের। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি অনুরাগীদের। বক্স অফিসে সে ভাবে সাড়া ফেলতে পারেনি এই ছবি। এর মধ্যেই ‘সিকন্দর’-এর পরিচালক, অর্থাৎ এআর মুরগাদোসকে মুসলিমবিদ্বেষী তকমা দিলেন আইনজীবী তথা সমাজকর্মী শেখ ফায়াজ় আলম। এমনকি সলমন খানের ছবির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার ডাকও দিয়েছেন তিনি।
ইদে মুক্তি পেয়েছে ‘সিকন্দর’। কিন্তু ‘থুপক্কি’ নামে একটি ছবিতে নাকি সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ প্রদর্শন করেছেন মুরগাদোস। তাই তাঁর তৈরি ‘সিকন্দর’ও না দেখার দাবি করেছেন শেখ ফায়াজ় আলম। তাঁর আর্জি, বিনোদনের পিছনে অর্থ খরচ না করে গাজ়ার জন্য অথবা মুসলিমদের শিক্ষা, আইন ও রাজনীতির জন্য অর্থ বিনিয়োগ করা হোক।
নীতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নায়ডু ও চিরাগ পাসওয়ানদের মতো রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে প্রশ্নও রয়েছে শেখ ফায়াজ়ের। এই নেতারা সংখ্যালঘুদের পাশে থাকবেন কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন তাঁর।
উল্লেখ্য, মৃত্যুর খাঁড়া নিয়ে ‘সিকন্দর’-এর শুটিং করেছিলেন সলমন খান। লরেন্স বিশ্নোইয়ের তরফ থেকে একের পর এক হুমকি পেয়েও দমে যাননি তিনি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবাধে শুটিং করেছিলেন তিনি। তবে ছবি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার আগেই ফাঁস হয়ে যায় সমাজমাধ্যমে। সলমন অনুরাগীদের অনুমান, ছবি ফাঁস হয়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে বক্স অফিসের উপর। দর্শক বাড়ি বসে দেখে ফেলেছেন। তাই প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে কেন তাঁরা একই ছবি আবার দেখবেন? ছবি নিয়ে বিতর্কও হয়েছে বিস্তর। ৩১ বছরের ছোট নায়িকা রশ্মিকা মন্দানার সঙ্গে জুটি বাঁধায় তাঁর দিকে ধেয়ে আসে কটাক্ষ। তারকার চেহারায় পরিবর্তনও অনুরাগীদের চোখে পড়েছে। তাঁদের দাবি, অনেকটাই ওজন বাড়িয়ে ফেলেছেন সলমন। যার ফলে তাঁকে খুবই ক্লান্ত দেখাচ্ছে। সব মিলিয়ে, ‘সিকন্দর’-এর বক্স অফিস সংগ্রহ হতাশ করেছে বলি তারকার অনুরাগীদের।