শ্রীরামপুর থানা। —ফাইল চিত্র।
পুরসভায় চাকরি দেওয়া হবে। ফেসবুকে এমনই একটি বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে পড়ে। তা দেখে যোগাযোগ করলে পুরসভার একটি হলঘর ভাড়া করে চাকরিপ্রার্থীদের ফর্ম পূরণ করা হয়। তার পর ট্রেনিংয়ের নাম করে টাকাও নেওয়া হয়। কিন্তু চাকরি আর হয়নি। এমনই একটি অভিযোগে চার যুবককে গ্রেফতার করল শ্রীরামপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম সুজিত সিংহ, সৈকত মণ্ডল, সুমিত হালদার এবং মৈনাক চট্টোপাধ্যায়। ধৃতদের মধ্যে এক জন বালি, দু’জন সিঙ্গুর এবং এক জন হরিপাল এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, পুরসভায় চাকরি দেওয়া হবে, এমনই একটি বিজ্ঞাপন গত কয়েক দিন ধরে ছড়ানো হয়। সেই বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই যোগাযোগ শুরু করেন। ওই চাকরিপ্রত্যাশীদের অভিযোগ, তাঁদের শিক্ষাগত শংসাপত্র ইত্যাদি দেখে ট্রেনিং দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। ফর্ম পূরণ এবং ট্রেনিংয়ের জন্য সবার কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়। অন্য দিকে, এই বিষয়টি পুরসভার নজরে আসতে তারা নড়েচড়ে বসে। পুরসভার তরফে থানায় যোগাযোগ করা হয়। জানানো হয়, পুরসভায় এখন কোনও কর্মীকে নিয়োগ করা হচ্ছে না। কে, কেন এমন খবর চাউর করছেন, তা কর্তৃপক্ষ জানেন না। যে বিজ্ঞাপনটি ফেসবুকে ছড়ানো হয়, তার ছবি-সহ অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয় থানায়। এর পর পুলিশ একটি এফআইআর দায়ের করে। সোমবার শ্রীরামপুর পুরসভার হলঘরে আবার ওই ফর্ম পূরণের কাজ চলার সময় চার যুবককে গ্রেফতার করে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অভিযুক্তদের শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হয়েছে। কিন্তু কী ভাবে পুরসভার হলঘর ভাড়া করে এমন একটি ভুয়ো কাজ হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুরসভার চেয়ারম্যান গিরিধারী সাহা জানান, কোনও বিজ্ঞাপন বা নোটিস পুরসভার তরফে দেওয়া হয়নি। ধৃতেরা কেন এই কাজ করেছিলেন, তা পরিষ্কার নয়। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে বিষয়টি।