কলকাতার হেয়ার স্কুলের বাইরে চলছে তল্লাশি পর্ব। মঙ্গলবার সকালে। নিজস্ব চিত্র।
শুরু হল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। সকাল ১০ টা থেকে রাজ্যের ২৩৪৯টি কেন্দ্রে শুরু হল পরীক্ষা। ৮ লক্ষ ৫২ হাজার পরীক্ষার্থীর পরীক্ষায় বসার কথা এ বছর। তবে পরীক্ষা শুরুর আগেই আরও একটি কড়া পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হল এই পরীক্ষার্থীদের। পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগে তাঁদের উতরোতে হল নিরাপত্তার পরীক্ষায়। প্রমাণ দিতে হল, কোনও রকম অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা করবে না তারা। মঙ্গলবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছাত্রদের পকেটে হাত ঢুকিয়ে তল্লাশি নিল পুলিশ। ছাত্রীদেরও ব্যাগ পরীক্ষা করলেন মহিলা পুলিশেরা। মোবাইল ফোন নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষার হলে ঢুকছেন কি না, তা খতিয়ে দেখেতেই এই তল্লাশি। তবে প্রশ্নফাঁস বা পরীক্ষার অন্যান্য ঝুঁকি এড়াতে যে এই ধরনের কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা আগেই জানিয়ে রেখেছিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর চার দিন আগেই একটি বিশেষ সাংবাদিক বৈঠক করে উচ্চ মাধ্যমিক সংসদের সভাপতি সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, মোবাইল ফোন নিয়ে এ বারে আরও কড়া হতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সারা রাজ্যের মধ্যে প্রায় ২০৬টি পরীক্ষাকেন্দ্রকে স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলির প্রত্যেকটিতে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন বা অন্যান্য বৈদ্যুতিন যন্ত্র আছে কি না, তা পরীক্ষা করা হবে। এমনকি, পুলিশের সাহায্যে নেওয়া হবে পরীক্ষার্থীদের ব্যাগের তল্লাশিও। অতি স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলিতে পরীক্ষার হলে মোবাইলের উপস্থিতি টের পেতে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর বা আরএফডি ব্যবহারের কথাও বলেছিলেন তিনি। এ ছাড়া অন্য পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতেও পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি নেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে বলে জানানো হয়েছিল সংসদের তরফে।
মঙ্গলবার সকালে দেখা গেল ছাত্র-ছাত্রীদের বহু পরীক্ষাকেন্দ্রে জলের বোতল নিয়েও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। স্বচ্ছ জলের বোতল হলে যদি বা তা ভিতরে নিয়ে যেতে পারছেন পরীক্ষার্থীরা, ভিতর দেখা যায় না এমন জলের বোতল বাইরে রেখেই ঢুকতে হয়েছে পরীক্ষার হলে। পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে, ভিতরে পরীক্ষার্থীদের জলের বোতল সরবরাহ করা হবে। তাই জল পেতে অসুবিধা হবে না তাঁদের।