High Court

BSF issue :কেন বিএসএফ-এর ক্ষমতা বৃদ্ধি? জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চাইল হাই কোর্ট

পঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে বিএসএফ-এর ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ ১৪:২৩
পঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে ৫০ কিলোমিটার পরিধি পর্যন্ত এলাকায় বিএসএফ-এর ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

পঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে ৫০ কিলোমিটার পরিধি পর্যন্ত এলাকায় বিএসএফ-এর ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফাইল ছবি

সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-র পরিধি বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলায় কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, দু’মাসের মধ্যে ওই বিষয়ে কেন্দ্রকে হলফনামা জমা দিতে হবে। আবার যে হেতু পঞ্জাব সরকারের দায়ের করা এই ধরনের একটি মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, তাই সেখানে কী হয় সে দিকে তাকিয়েও সব পক্ষ।

পঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে ৫০ কিলোমিটার পরিধি পর্যন্ত এলাকায় বিএসএফ-এর ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, যা আগে ছিল ১৫ কিলোমিটার। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় সওয়াল করেন, ‘‘বিএসএফ-এর আইন অনুযায়ী যে কোনও ক্ষেত্রে তাদের কার্যক্ষেত্রের পরিধি বাড়তে পারে। ফলে এখন ১৫ কিলোমিটার, এর পর ৫০ কিলোমিটার, তার পর হয়তো আরও বৃদ্ধি পাবে! তাই এখনই এটাকে আটকানো দরকার।’’ এর পাল্টা হিসাবে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াইজে দস্তুর বলেন, ‘‘এর বিপরীতও রয়েছে। সেটা বলা হচ্ছে না। রাজস্থান এবং গুজরাত সীমান্তে ৮০ কিলোমিটার থেকে কমানো হয়েছে। কেন বিএসএফ-কে বাড়তি ক্ষমতা দেওয়া হল, তার সবটাই আমরা বিস্তারিত আদালতে জানাব।’’

Advertisement

এ নিয়ে রাজ্যের মতামত জানতে চান প্রধান বিচারপতি শ্রীবাস্তব। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে জানান, “যে হেতু বিএসএফ-এর ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে পঞ্জাব সরকার, তাই তারা কী আবেদন করেছে, তা আমাদের জানা নেই। না দেখে অবস্থান জানানো এখনই সম্ভব নয়।” তার পরই এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছে হাই কোর্ট।

Advertisement
আরও পড়ুন