—ফাইল চিত্র।
জলপাইগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের তিনটি জেলায় সোমবারও ঝড় হতে পারে। সঙ্গে চলবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। শিলাবৃষ্টিও হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সোমবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ওই জেলাগুলিতে ঝড়বৃষ্টি চলবে বুধবার পর্যন্ত।
সোমবার দুপুরে আলিপুর হাওয়া অফিসের বুলেটিন অনুযায়ী, জলপাইগুড়ি-সহ উত্তরের তিনটি জেলায় সোমবার ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সেই সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হতে পারে কিছু কিছু এলাকায়। বজ্রপাত থেকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে সাধারণ মানুষকে। বৃষ্টির পরিমাণ থাকবে হালকা থেকে মাঝারি।
সোমবার উত্তরের বাকি জেলা অর্থাৎ, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং উত্তর দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে। মঙ্গলবার এবং বুধবারও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হবে। বিভিন্ন জেলায় ঝড়বৃষ্টি চলবে। বুধবারের পর থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
উত্তরের বিপরীত পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জন্য। দক্ষিণের বেশ কিছু জেলায় আগামী কয়েক দিনে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিনে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী ৩ এপ্রিল থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমানে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হবে। ওই জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি। দক্ষিণবঙ্গের কোথাও আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
রবিবার বিকেলে ঘূর্ণিঝড় হয় জলপাইগুড়িতে। মাত্র কয়েক মিনিটের ঝড়ে জলপাইগুড়ি শহর, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের।আহতের সংখ্যা শতাধিক। বহু মানুষ ঝড়ের কারণে ঘরছাড়া হয়ে পড়েন। খোলা আকাশের নীচে তাঁদের রাত কেটেছে। ঝড়ে বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছ উপড়ে রাস্তা বন্ধ হয়েছে। রাতেই পরিস্থিতি তদারকি করতে জলপাইগুড়ি যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। হাসপাতালে গিয়ে রাতেই খোঁজ নেন আহতদের। সোমবার সকালে জলপাইগুড়িতে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিকেলে যাওয়ার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আগামী কয়েক দিন উত্তরবঙ্গেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা। জলপাইগুড়ির ঝড়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে, কারণ অনুসন্ধান করতে সোমবারই কলকাতা থেকে আলিপুর হাওয়া অফিসের একটি বিশেষ দলের সেখানে যাওয়ার কথা।